অভিশপ্ত ৮ ই অগাস্টের বর্ষপূর্তি, ‘অভয়া’র ন্যায়বিচারের দাবিতে ফের ‘রাত দখল’ কলকাতায়

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক বছর পর ফিরে এসেছে সেই অভিশপ্ত দিন। গত বছর ৮ ই অগাস্টের রাতেই আরজিকরে (RG Kar Case) নিঃসারে ঘটে গিয়েছিল এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড। নিজের কর্মস্থলে নৃশংসভাবে ধর্ষণ এবং খুন হতে হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে, পরবর্তীতে যে ঘটনায় প্রতিবাদের গর্জন ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের বাইরেও। এক বছর কেটে গেলেও বিচার এখনও অধরা। এদিন প্রতিবাদের স্মৃতি উসকে ফের ‘রাত দখল’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে শহর কলকাতায়।

আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar Case) বিচারের দাবিতে ফের রাত দখল

আগামীকাল ৯ ই অগাস্ট নবান্ন অভিযান। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে সাড়া দিয়ে এদিনের অভিযানে পা মেলাতে চলেছেন অভয়ার (RG Kar Case) বাবা মা। তার আগে শুক্রবার রাতে রাত দখলের (Reclaim The Night) ডাক দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মশাল মিছিল রয়েছে এদিন। মিছিলে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পরিচিত মুখ দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো এবং আসফাকুল্লা নাইয়াদের।

Reclaim the night protest happening Friday on rg kar case protest

শুরু হয়েছে মশাল মিছিল: রাত নটা নাগাদ শুরু হয়েছে মশাল মিছিল। আবারও পথে নামতে দেখা গেল জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Case)। এক বছর আগে রাজপথে আওয়াজ উঠেছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এদিন আবারও ফিরল চেনা ছবিটা। ব্যানার নিয়ে বিচারের দাবিতে পথে নামলেন বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, ভোর চারটে পর্যন্ত চলবে রাত দখলের কর্মসূচি। মিছিল পৌঁছাবে শ্যামবাজারে। সেখানেই অবস্থান। আগামিকাল রয়েছে রাখিবন্ধন কর্মসূচি।

আরও পড়ুন : মার্কিন গা জোয়ারির বিরুদ্ধে এককাট্টা ভারত-চিন, নিজের চালে নিজেই বেকায়দায় ট্রাম্প?

আগামিকাল নবান্ন অভিযান: উল্লেখ্য, এক বছর আগে রাত দখল বা ‘রিক্লেম দ্য নাইট’ এর কর্মসূচি যাঁর হাত ধরে শুরু হয়েছিল, সেই রিমঝিম সিংহ অবশ্য এদিনের কর্মসূচিতে যোগ দেননি। তবে আগামী ১৪ ই অগাস্ট নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন বলেই জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন : বিশ্বে এক নম্বর হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা, এবার ৬ জি প্রযুক্তির ইন্টারনেট আনছে রিলায়েন্স জিও! কেমন খরচ পড়বে?

আগামিকাল ৯ ই অগাস্ট রয়েছে নবান্ন অভিযান। এই কর্মসূচি ঠেকাতে কলকাতা হাইকোর্টে দুটি মামলা দায়ের হলেও শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টেকেনি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং ধর্না কর্মসূচি সাংবিধানিক অধিকার বলে জানিয়েছে আদালত। তবে যদি জটিলতা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে পুলিশ অভিযান আটকাতে পদক্ষেপ করতে পারে।