বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য রাজ্য জুড়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। একইভাবে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল হেলথ রিক্রুটমেন্ট (Recruitment) বোর্ডের ডিরেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত নড়েচড়ে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনের পর্যালোচনায় হোমিওপ্যাথির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গলদের অভিযোগ মান্যতা পেয়েছে।
বাতিল হয়ে গেল নিয়োগ (Recruitment)
এরপরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। আর এবার এই হোমিওপ্যাথি ডিরেক্টর নিয়োগ বাতিল হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে হেলথ রিক্রুটমেন্ট (Recruitment) বোর্ডের। ইতিপূর্বে নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় দাবি করেছিলেন কোথাও কোনো দুর্নীতি হয়নি। সেই দুর্নীতি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
প্যানেল অধ্যক্ষের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও বিভাগীয় প্রধান কিভাবে ডিরেক্টর হচ্ছেন? এই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে গত ২৮ মার্চ ডিরেক্টর পদে আবেদনের ভিত্তিতে প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। আবেদন জানানোর শেষ তারিখ ছিল ১৮ থেকে ২৬ জুনের মধ্যে। এবার ডিরেক্টর পদে আবেদন জানানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করায় প্রশ্ন উঠছে কাদের সুযোগ দিতে দু’মাস পর আবার আবেদন জানানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে?
আরও পড়ুন: ‘মাটি খুবই শক্ত..,’ স্ত্রীর ছবি আর পাশে মেয়েকে নিয়ে মমতা-অভিষেকের নামে পুজো, কি বললেন অনুব্রত?
ইন্টারভিউয়ের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই আবেদনকারীদের মধ্যে ডিরেক্টর পদে মনোনয়ন ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। যোগ্য মেধাবী প্রার্থীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ জানিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (হোমিওপ্যাথি)’। অভিযোগ এই নিয়োগে (Recruitment) ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট হোমিওপ্যাথিক হেলথ সার্ভিস আইন ২০১৫ মানা হয়নি।
ইন্টারভিউতে হোমিওপ্যাথিতে স্নাতক স্তরের ডিগ্রিতে ৫০ নম্বর বরাদ্দ ছিল। স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রির জন্য বরাদ্দ ছিল ২০ নম্বর। উচ্চশিক্ষার ডিগ্রিতে কম নম্বর বরাদ্দ করা হয় কার স্বার্থে? তা নিয়েই উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। সেখানে স্নাতকোত্তরে ভালো নম্বর না থাকা আবেদনকারীরা বাকিদের থেকে পিছিয়ে পড়লেন কিভাবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এছাড়াও অভিযোগ ওই ইন্টারভিউতে ওবিসি তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা নাকি ডাক পাননি। এছাড়াও ওবিসি তালিকাভুক্তদের বিজ্ঞপ্তিতে যে সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তাও মানা হয়নি।