বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতার হয়ে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। বিগত প্রায় আড়াই বছরের অধিক সময় ধরে জেলবন্দি তিনি। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে বের হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ খোলেন পার্থ।
সংবাদমাধ্যমের সামনে কী বললেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ (Partha Chatterjee)?
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন সকল অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা সহ, কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), তাপস মণ্ডলরা। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দেন প্রত্যেকে।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ (Partha Chatterjee) বলেন, অধিবাসীবৃন্দকে নতুন বছরের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাঁরা এই দুঃসময়েও আমার পাশে থাকার জন্য। এরপর আর কোনও কথা বলেননি তিনি। সোজা গাড়িতে উঠে যান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ফের ‘সুখবর’! বছর শেষের আগেই বড় ঘোষণা মমতার
সদ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন তিনিও। অর্পিতা বলেন, আইনের ওপর আস্থা রয়েছে, আইনের ওপর ছেড়ে দিন। বিচারব্যবস্থার ওপর ভরসা থাকার কথা বলেন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তলও। অন্যদিকে তাপস মণ্ডল আবার বলেন, আমি অসুস্থ। সেই অবস্থাতেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আমি এসেছি। আমি আদালতকে সম্মান করি। আদালতকে অপমান করতে পারব না বলে আমি এসেছি।
এদিন আদালতের নির্দেশ মতো পার্থ (Partha Chatterjee), অর্পিতা, কুন্তলরা আদালতে সশরীরে হাজির হলেও, উপস্থিত হননি কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সকালেই জানা যায়, জেলের মধ্যে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কালীঘাটের কাকু। জেল হেফাজতে থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তবে এদিন সকালে আচমকাই জ্ঞান হারান তিনি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর আইনজীবী তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান। ‘কাকু’র আইনজীবীর এই আবেদনে কোনও আপত্তি জানায়নি ইডি। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে জানানো হয়, সুজয়কৃষ্ণর সুরক্ষার বিষয়টি দেখতে হবে। এরপর কাকুকে আলিপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ, কলকাতা পুলিশকে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।