‘আমার একটা আবেদন…’, আদালতে কী জানালেন নিয়োগ দুর্নীতির মানিক?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে শোরগোল। শিক্ষক কেলেঙ্কারির দায়ে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, শাসকদলের নেতা বিধায়ক থেকে শুরু করে শিক্ষাদফতরের একাধিক আধিকারিক। একই অভিযোগে বহুদিন থেকে জেলেই রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। শনিবার তার মামলার শুনানি ছিল কলকাতার বিচার ভবনে। সেখানেই মুখ খুললেন অভিযুক্ত।

আদালতে দাঁড়িয়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করলেন মানিক ভট্টাচার্য। আদালতে মানিকের দাবি, ইডি (Enforcement Directorate) কোনও তদন্তই করেনি। ইডির দাবি, ৩২৫ জন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন। অভিযোগ, তাদের সকলকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন মানিক। ওই চাকরিপ্রার্থী কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা করে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ১০ পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

এদিন আদালতে পাল্টা মানিকের দাবি, ৩২৫ জন ফেল করার ছাত্রের চাকরি পাওয়া নিয়ে যে অভিযোগ তা রা আদৌ ফেল করেছিলেন কিনা, সেকথা জানাতে পারেনি ইডি। ইডির কাছে সেই সংক্রান্ত কোনো তথ্যই নেই। ওই প্রার্থীদের রেজাল্টও দেখতে চেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।

তদন্তকারী সংস্থা বলেছে, ১৬,৫০০ জনের প্যানেলের সঙ্গে ওই তালিকা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। তা হলে ৩২৫ জনের রেজাল্ট দেখানো হোক। এদিন আদালতে জোর গলায় এমনটাই দাবি করেন মানিক। এরপরই ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করে বিচারপতি বলেন, ‘‘এই ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থীকে যে পাশ করানো হয়েছে, রেজাল্ট ছাড়া আপনারা সে কথা কী করে বলছেন?’’

manik bhattacharya

আরও পড়ুন: ‘আর সহ্য করা যাচ্ছে না, এত…’, ভোটের মাঝেই ফের বিস্ফোরক TMC বিধায়ক মনোরঞ্জন

এর পরিপ্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবীর সওয়াল, তারা শুধু আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে। এই সংক্রান্ত তদন্ত সিবিআই করছে বলে আদালতে জানায় ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডলের বয়ান থেকে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। সাত কোটি টাকার হদিসও মিলেছে। ওদিকে মানিক আদালতে বলেন, ‘‘আমার খুব সাধারণ আবেদন হুজুর। আসল সত্যিটা খুঁজে বার করা হোক।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর