বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক। তবে একের পর এক গ্রেফতারি হলেও এখনও পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে বড় কোনও তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করতে পারেনি তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জামিনও পেয়ে গিয়েছেন তিন জনা।
ওদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এসব নিয়েই যখন টানাপোড়েন চলছে সেই সময় আদালতকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) জানিয়ে দিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনই সব তথ্য সামনে আনা যাবে না।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তে যা তথ্য উঠে এসেছে সেই সব এখনই প্রকাশ্যে আনলে অনেক প্রমাণ লোপাট হয়ে যেতে পারে। ওদিকে তদন্তকারী সংস্থার যুক্তি শুনে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সুপ্রিম কোর্টের মাফিক নিয়ম মেনে সিবিআইকে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতেই হবে।
আরও পড়ুন: মোদীর গীতাপাঠের দিনেই TET পরীক্ষার দিন ফেলেছে সরকার! সমস্যায় পরীক্ষার্থীরা?
আগামী ৯ জানুয়ারি এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ডেডলাইন শেষ হচ্ছে। আর সেই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন বিচারপতি এই বিষয়ে রাজ্যের কাছেও হলফনামা তলব করেছে। এখন আদালতের নির্দেশ মেনে সিবিআই এরপর কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করে কি না সেই দিকেই নজর সকলের।
ওদিকে, এদিন SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নির্দেশ, ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া প্রত্যেককে নোটিশ দিতে দিতে হবে। বিচারপতি বলেন, এই মামলার রায় যাই হোক না কেন তার প্রভাব বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর পড়তে চলেছে। এক্ষেত্রে মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে এই বিষয়ে অবগত নাও থাকতে পারেন। তাই ওই বছর চাকরি প্রত্যেককে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে যে তাদের নিয়োগ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আদালতের আরও নির্দেশ, ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার আগে এই নোটিশে তাদের প্রত্যেককে দিয়ে সই করাতে হবে। নোটিস যাবে ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মী, নবম – দশম ও একাদশ – দ্বাদশের শিক্ষকদের। তাদের নোটিশে সই করা হয়ে গেলে তা জমা করতে হবে আদালতে।