বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আইসিইউ-তে রয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, এখনও সেখানেই রয়েছেন চিকিৎসা চলছে তাঁর। এবার প্রাক্তন মন্ত্রীর গলায় শোনা গেল সরকারি হাসপাতালের প্রতি আস্থা না থাকার কথা। এবার বেসরকারি হাসপাতালে নিজের চিকিৎসা করাতে চান নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত পার্থ। ইতিমধ্যেই এই মর্মে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবী।
‘এসএসকেএমে সুস্থ হচ্ছি না’! দাবি পার্থর (Partha Chatterjee)
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। গত সপ্তাহের সোমবার তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আইসিইউ-তে রয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, পার্থর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। এসএসকেএম (SSKM Hospital) সূত্রে খবর, কিডনি এবং ফুসফুসের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। এখন তাঁর পটাশিয়াম, ক্রিয়েটিনিন এবং সোডিয়ামের মাত্রাতেও গোলমাল দেখা দিয়েছে।
এই আবহে আর সরকারি হাসপাতালের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। সুস্থ হয়ে উঠতে এবার বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital) ভর্তি হতে চাইছেন তিনি। যে হাসপাতালে তাঁর যথাযথ চিকিৎসা করা হবে, সেখানেই তাঁকে যেন স্থানান্তরিত করা হয়, চাইছেন পার্থ।
আরও পড়ুনঃ শুনানির এক দিন আগেই ঘুরে গেল ‘খেলা’! স্বাস্থ্য ভবনের এক সিদ্ধান্তে বড় বিপাকে সন্দীপ ঘোষ
ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবী। এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
রিপোর্ট বলছে, চিকিৎসকদের একাংশের মতে, পার্থর শারীরিক অবস্থার জন্য তাঁর খাদ্যাভ্যাসই দায়ী। এই নিয়ে সহমত জেল কর্তৃপক্ষও। কারণ এই বয়সেও প্রাক্তন মন্ত্রীর খাদ্যাভ্যাসের সংযমের বেশ অভাব রয়েছে। যা কিনা নানান শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম একটি কারণ।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একাধিকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গ্রেফতারির পর ভুবনেশ্বরের এইমসে নিয়ে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি। বহুবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদনও করেছেন তিনি। তবে এখনও অবধি জেলমুক্তি হয়নি।