কেঁচো খুড়তে কেউটে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৩ হাজার ভুয়ো নিয়োগের তালিকা প্রকাশ !

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কতজন ভুয়ো নিয়োগ (Recruitment Scam) হয়েছে তা খুঁজে বের করতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসে স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। ঘণ্টাখানেকের সেই বৈঠকে উঠে এসেছে প্রায় ১৩ হাজার জনের নামের একটি তালিকা।

বেআইনি নিয়োগের বিরুদ্ধে আরও জোরদার হয়েছে আদালতের অবস্থান। এদিনের বৈঠক তারই প্রমাণ। সূত্রের খবর, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত এই বৈঠকে মোট ১২ হাজার ৯৬৪ জনের একটি তালিকা উঠে এসেছে। এই তালিকার প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে সব পক্ষের হাতে।

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, বেআইনি ভাবে যাদের নিয়োগ হয়েছে তারা ধরা পড়লে প্রত্যেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। সেই জায়গায় যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ দিতে হবে। 

ওইদিন মূলত নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছিল। সেই শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, নিয়মবহির্ভুতভাবে যারা চাকরিতে ঢুকেছে, তাদের সরিয়ে ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে হবে। সেই মতো কতজনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তার তালিকাও তৈরি করতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এসএসসি ও মামলাকারীর আইনজীবীরা একসঙ্গে বসে পুরো তালিকা যাচাই করবেন।

বৃহস্পতিবার এসএসসি কার্যালয়ে এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকটি হয়। সেখানে ২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেণিতে ভুয়ো নিয়োগ সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছে, সেই তালিকার সঙ্গে নিজেদের তালিকা মিলিয়ে আদালতে জমা দেবে এসএসসি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। 

একইদিনে আদালতে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই-ও। এদিন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “এসব বিষয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয় বোর্ড। তারা সম্পূর্ণ তালিকা দিয়েছে। আমাদেরও রেকমেন্ডেশনের লিস্ট সম্পূর্ণ থাকবে। দু’টি তালিকা মিলিয়ে দেখা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ওদের কাছে ১৭ জনের একটি তালিকা ছিল যা নিয়ে ওরা মামলা করেছে। এছাড়াও অতিরিক্ত কিছু হয়তো পেয়েছে। আমরাও আমাদের রেকর্ড থেকে আরও কিছু নাম পাব। এগুলিকে মিলিয়ে দেখে কোর্টের কাছে আমাদের পক্ষে যতটা করা সম্ভব করব। এরপর সিবিআই-ও ২৮ তারিখ নিজেদের রিপোর্ট জমা দেবে।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর