বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে মন্ত্রী, শাসকদলের নেতা, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলবন্দি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। এই কাকুর গ্রেফতারির পর ৯০ ডিগ্রি কোণে ঘুরে গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। এরই মধ্যে এবার নয়া তথ্য জুড়লো এই মামলায়।
কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির দাবি, কলকাতার লি রোডে নিজের মেয়ে জামাইকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এসডি কনসালট্যান্ট নামে এক সংস্থায় কাকুর অংশীদারি রয়েছে। অভিযোগ, সেই সংস্থা থেকে প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে।
ইতিমধ্যেই কাকুর বিভিন্ন ব্যাঙ্ক লেনদেন ইডির হাতে এসেছে। ইডি সূত্রে দাবি, ২০১৮ সাল থেকে সুজয়কৃষ্ণের আরও এক বেনামি সংস্থায় নগদে প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকার মতো নগদ অর্থ জমা পড়েছে। এখানেই শেষ নয়! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলীর যুবনেতা কুন্তল ঘোষণা ও প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথেও যে কাকুর যোগ স্পষ্ট সেই দাবিও করেছেন গোয়েন্দারা।
কাকুর সঙ্গে ঘুরপথে উঠে এসেছে মানিক যোগও। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ২০১২ ও ২০১৪ সালের ৩২৫ জন টেট পরীক্ষার্থীর চাকরি করে দেবেন বলে কুন্তল ঘোষকে কথা দেন কালীঘাটের কাকু। তার বিনিময়ে ৭০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ‘কাকু’। তার থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও টাকা যায় বলে দাবি। অন্যদিকে এই ৩২৫ চাকরি প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড সহ নামের তালিকাও মানিক ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি ইডির। সব সূত্রের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দারা।