বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার মধ্য সুমাত্রার জাম্বি প্রদেশ।এখানেই আকাশ যেন তৈরি করেছে ভৌতিক সিনেমার আবহ। এখানে গোটা আকাশকে আবৃত করে ফেলেছে রক্তিম মেঘ।এর মূল কারণ, সুমাত্রা ও বোর্নিও দ্বীপের অপ্রতিরোধ্য দাবানলের ফলে উৎপন্ন বিষাক্ত ধোঁয়া। বিপুল এই দাবানলের ঘন ধোঁয়ায় সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারছেনা। তাই ভর দুপুরেই যেন সেখানে রাত। শুধু এই অঞ্চল নয়, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ড প্রভৃতি ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী দেশেও প্রভাব পড়েছে এই ভয়াবহ দাবানলের। ইতিমধ্যেই ইন্দোনেশিয়া সরকার বনাগ্নিপ্রবণ অঞ্চলে অতিরিক্ত ৫৬০০ জন আধিকারিক মোতায়েন করেছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪ হাজার কর্তাব্যক্তি রয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে খোঁজা হচ্ছে নতুন উপায়।কৃত্রিম মেঘ সৃষ্টির তাগিদে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ক্যালসিয়াম অক্সাইড, ইউরিয়া এবং লবণ মিশ্রিত একটি রাসায়নিক এবং ইউরিয়ার সঙ্গে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে তৈরি রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, যাতে এই সব অঞ্চলকে বীজবপনের উপযোগী করে তোলা সম্ভব হয়। ড্রোনের দ্বারা দেখে নাওয়া হচ্ছে সবথেকে বিপজ্জনক অঞ্চল গুলিকে।
গতসপ্তাহের শেষদিকে সুমাত্রার জাম্বিতে কমলা ও রক্তবর্ণের আকাশের ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।এই অঞ্চলের বাসিন্দারা যখন এই ভোগান্তির শিকার হয়ে আছে তখন বোঝাই যায় যে উৎসস্থলের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দারা কতটা তীব্র কষ্ট ভোগ করছেন। ইন্দোনেশিয়ার মেটিরিওলজি ক্লাইমেটোলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্স এজেন্সির (বিএমকেজি) কাছে এ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য ও ব্যাখ্যা রয়েছে। বিএমকেজির মুখপাত্র সিস্বান্ত বলেছেন, “রক্তিম আকাশ দেখা যাচ্ছে মুয়ারো জাম্বি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে। ২১ সেপ্টেম্বর হিমাওয়ারি-৮ উপগ্রহচিত্র থেকে মিলেছে ওই এলাকায় তীব্র উত্তাপ ও অত্যন্ত ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ার চেহারা। ইতিমধ্যেই জঙ্গলে আগুন লাগানোর দায়ে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে কমপক্ষে ৪৯টি সংস্থার জমি সিল করে দাওয়া হয়।