বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে জল্পনা চলছিল। কিন্তু সেসব কেটে গিয়ে এবার ভারতীয় ফুটবলের জন্য এলো সুখবর। আসন্ন মরশুম থেকে আইএসএল এবং আইলিগে শুরু হচ্ছে অবনমন ও উত্তরণ। গত কয়েক সপ্তাহে ভারতীয় ফুটবলের প্রশাসনিক স্তরে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে যার ফল এই সিদ্ধান্ত। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল অপসারিত হয়েছেন। তার জায়গায় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক মন্ডলী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফুটবল সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নিয়ে ফিফা কি মনোভাব পোষণ করবে সেই নিয়ে চিন্তায় অনেকে।
সম্প্রতি ফিফা ও এএফসি কর্তাদের সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলের ফেডারেশন এবং অংশীদারদের বৈঠক হয়। তারপরেই তড়িঘড়ি আসন্ন মরশুম থেকে আইএসএল এবং আইলিগে অবনমন ও উত্তরণের নিয়ম চালু করার কথা নিশ্চিত হয়েছে। তবে এখনও অফিসিয়াল ঘোষণা করেনি ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
এই নিয়ম চালুর পর ফ্রাঞ্চাইজি ফি ছাড়াই আইএসএল খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে মহামেডান এফসি, গোকুলাম কেরালার মতো আইলিগে গতবছর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা ক্লাবগুলি। তবে ক’টি দল একসঙ্গে হারিয়ে ফেলে উঠে আসতে পারবে আই লিগ থেকে বা ঠিক ক’টি দলের অবনমন হবে এই ব্যাপারে এখনো কিছু স্পষ্ট করে জানতে পারা যায়নি। এআইএফএফ-এর ঘোষণার পর বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে।
Massive news for #IndianFootball! Had a super impressive meeting with the representatives of @FIFAcom & @theafcdotcom today. The promotion-relegation process has now been officially confirmed from this season in @ILeagueOfficial & @IndSuperLeague! Super happy, excited & relieved. pic.twitter.com/R6dnNs4ihV
— Dipak Kumar Singh (@dipaklamb) June 23, 2022
কিন্তু এই সম্ভাবনার সামনে আসার পর থেকেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। গত মরশুমে দল সবার শেষে ফিনিশ করেছিল। এইবার ইনভেস্টর জট কাটেনি এখনও। কত দুইবারের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় সে লাল-হলুদ কর্তারা ইনভেস্টরদের পক্ষে পরিস্থিতিটা একেবারেই সহজ করে দেবেন না। বিনা দোষে শাস্তি পাবেন সমর্থকরা। মুহূর্তে একটি জোড়া তাপ্পি দেওয়া চুক্তি এবং তার ওপর ভিত্তি করে দল গঠন করায় এখন একমাত্র পথ খোলা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার ক্ষেত্রে। বলাই বাহুল্য যে ইনভেস্টর চাইলেও এই ব্যাপার যদি ক্রমাগত চলতে থাকে তাহলে ভালো দল করা অসম্ভব। মাঠের মধ্যে যা হবে ক্লাব কর্তারা তার বিন্দুমাত্র দায় নেবেন না বরং তারা দোষ ছাপাবেন ইনভেস্টরদের ওপরই। শেষপর্যন্ত যদি সত্যি সত্যিই অবনমিত হয়ে যায় লাল হলুদ ক্লাবটি তাহলে সমর্থকদের পক্ষে তার সহ্য করা খুবই কষ্টদায়ক হবে। আর ঠিক কতটা হেনস্থা সহ্য করলে ঘুম ভাঙবে লাল-হলুদ কর্তাদের? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা