২০১৪ নয়, ২০২৪ পর্যন্ত ভারতে আসা সংখ্যালঘুরা থাকবেন প্রমাণ ছাড়াই, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

Published on:

Published on:

Relief for Minorities under Citizenship Amendment Act

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের নতুন নির্দেশে (Citizenship Amendment Act) খানিকটা স্বস্তি মিলল প্রতিবেশী তিন দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের আশঙ্কায় ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতে থাকতে পারবে। শুধু তাই নয়, নতুন নির্দেশে আরও বলা হয়েছে যে, তাঁরা পাসপোর্ট বা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দেশে থাকার অনুমতি পাবেন।

ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট, ২০২৫–এর (Citizenship Amendment Act) অধীনে নতুন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট, ২০২৫–এর (Citizenship Amendment Act) অধীনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে ভারতে আসা সংখ্যালঘুরা বৈধ পাসপোর্ট ছাড়াই দেশে থাকতে পারবেন। এই নিয়মে সুবিধা মিলবে মূলত পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষের ক্ষেত্রে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন।

গত বছর কার্যকর হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) অনুযায়ী, কেবলমাত্র ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে আসা সংখ্যালঘুরাই নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। কিন্তু নতুন নির্দেশে বলা হয়েছে, ২০১৪-র পরে, এমনকি ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত যারা এসেছেন, তারাও দেশে থাকার অনুমতি পাবেন, যদিও নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা এতে নেই।

এই ছাড় কার্যত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য। কেন্দ্র সরকারের এই আইনে (Citizenship Amendment Act) বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অসংখ্য পরিবার স্বস্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্রমণ নথি নিয়েও যারা ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, তাঁরাও এই নির্দেশের আওতায় থাকবেন জানান হয়েছে।

Relief for Minorities under Citizenship Amendment Act

আরও পড়ুনঃ ৩-৪ হাজার কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতি! ‘দাগি’ তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক বাগ কমিটির আইনজীবী

নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা না মিললেও দেশে থাকার বৈধ অনুমতি দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখছেন বহু সংখ্যালঘু। নতুন এই নিয়ম (Citizenship Amendment Act) কার্যকর হলে শুধু রাজনৈতিক নয়, মানবিক দিক থেকেও বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তু মানুষের জীবনে খানিকটা স্থিরতা আসবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।