বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বঙ্গজীবনে বাবা লোকনাথের (Loknath) মহিমার প্রচার খুব বেশি পুরনো না হলেও বাবা লোকনাথ আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রায় প্রায় তিনশো বছর আগে। বাবা লোকনাথ মানবজীবনে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। দিকে দিকে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর অপার মহিমা।
এই ত্রিকালজ্ঞ মহাযোগী নাকি নিজেই নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন প্রয়াণের একশো বছর পরে তাঁর লীলাকথা প্রচার করতে। মোটামুটি আটের দশকের শেষ দিক থেকে লোকনাথ পুজো পালনের জনপ্রিয়তা বাড়ে। মান্যতা অনুসারে তিনি শিবের অংশ। তাই শিবের মতই মহা সোমবারে বাবা লোকনাথের পুজো জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তোলে।
”রণে বনে জলে জঙ্গলে, যখনই যেখানে বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিবে”- বাবা লোকনাথ (Loknath)।
ছোটবেলাতেই তিনি ভগবান গাঙ্গুলীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। উপনয়ন শেষে লোকনাথ, বেনীমাধব ও ভগবান গাঙ্গুলী পদযাত্রা শুরু করেন। বিভিন্ন গ্রাম-শহর, নদ-নদী, জঙ্গল অতিক্রম করে প্রথমে কালীঘাটে এসে যোগ সাধনা শুরু করেন। এইরূপে গুরুর আদেশে বিভিন্ন স্থানে যোগ সাধনা ও ব্রত করে শেষ পর্যন্ত লোকনাথ ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেন। তারপর শুরু হয় দেশ ভ্রমণ। প্রথমে হিমালয় থেকে কাবুল দেশে আসেন। সেখানে মোল্লা সাদী নামে এক মুসলমানের সঙ্গে কোরান, বেদ-সহ বিভিন্ন শাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করে ইসলামধর্মের তত্ত্বজ্ঞান লাভ করেন।
পরবর্তীকালে তিনি বাংলায় ফিরে আসেন আশ্রম স্থাপন করা হয়। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমের কথা শুনে দেশ-দেশান্তর হতে বহু ভক্ত এসে ভিড় জমাতে থাকেন। অল্প সময়ের ব্যবধানেই বাবার আশ্রম তীর্থভূমিতে পরিণত হয়। ভক্তকূলের উদ্যেশ্যে তাঁর বাণী ছিল, ”রণে বনে জলে জঙ্গলে, যখনই যেখানে বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিবে”। যা তাঁর ভক্তকূল এখনও মেনে চলে।