বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সংকটমোচন হনুমান হলেন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা, যিনি ভগবান রামের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। হিন্দু পুরাণে হনুমানের আরও একটি পরিচয় হল তার জন্ম হয় ভগবান শিবের বরে। পবন এবং অঞ্জনী পুত্র হনুমান (Hanuman) বাল্যকাল থেকেই প্রবল শক্তিধারী ছিলেন। তিনি ছোটো থেকেই খুবই চঞ্চলা প্রকৃতির বালক ছিলেন। তাঁর এই চঞ্চলা এবং ক্ষমতা ছোটবেলায় বারংবার প্রকাশের জন্য তাঁকে অভিশাপ পেতে হয়। তাঁকে বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে তাঁর শক্তি সম্পর্কে তাঁকে যদি কেউ স্মরণ করিয়ে দেয়, তাহলে তিনি আবার তাঁর সেই অসীম শক্তি ফিরে পাবেন।
তাই পবন পুত্র যখন সীতা মাকে উদ্ধারের জন্য রাম দেবকে সাহায্য করছিলেন, সেই সময় জম্মুবান তাঁকে তাঁর অসীম শক্তি সম্বন্ধে স্মরণ করায়। এবং তিনি সীতা মাকে উদ্ধারের জন্য তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে সাহায্য করেন। আর এমনিতেও তো রামায়ণে রাম ভক্ত হনুমানের উল্লেখ পাওয়া যায়। তাই বলা হয় সংকটমোচন হনুমানের কৃপা পেতে গেলে হনুমানাকে করুন বারবার স্মরণ। তাই সংকট মোচনের ক্ষেত্রে হিন্দুরা পবনপুত্র হনুমানকে স্মরণ করেন।
মঙ্গলবার এবং শনিবার করেও অনেকে হনুমানকে স্মরণের জন্য হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন। বলা হয় প্রতিদিন যদি বিশেষত রাতের বেলা হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন, তাহলে তার অভূতপূর্ব ফলাফল পাওয়া যায়। গোস্বামী তুলসীদাসের অসাধারণ সৃষ্টি হল হনুমান চল্লিশা (Hanuman challisha)।
এই পৃথিবীতে যাবতীয় খারাপ, যা-ই পাপ তা দূর করতে হনুমান চল্লিশা পাঠ করা উচিত। যেকোনও বয়সের মানুষ, ছোট থেকে বড় যেকেউ হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে পারেন। তবে এবার জেনে নিন হনুমান চল্লিশা পাঠ করার কিছু ভালো দিক, যাতে আপনি এবং আপনার পরিবারের সকলেরই মঙ্গল হবে। ‘সঙ্কট মোচন শ্রী হনুমানুষ্টক’। হনুমান চল্লিশার একটি মন্ত্রেই বলা হয়েছে যে, বজরঙ্গবলীর মন্ত্র উচ্চারণ করলে কোনও ব্যক্তির সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যায়। সমস্ত বাধা অতিক্রান্ত হয়ে চলার পথ সুগম হয়ে যায়। তাই যখনই কোনও বিপদে পড়বেন বা কোনওরকম বাধার সম্মুখীন হবেন, তখন অবশ্য মনে মনে এই ‘সঙ্কট মোচন শ্রী হনুমানুষ্টক’ মন্ত্র জপ করুন, সমস্ত বাধা-বিঘ্ন কেটে যাবে।
প্রতিদিন রাতে আটবার করে হনুমান চল্লিশার প্রথম স্তবটি পাঠ করুন। অনেকসময়ে দুরাত্মার কারণ সংসারে নেমে আসে অন্ধকারের কালো ছায়া। প্রথমেই বলেছি যে, যা কিছু কু, যা কিছু পাপ, যা কিছু দুরাত্মা তার বিনাশ করতে পারে হনুমান মন্ত্র। প্রতিদিন স্নান করে উঠে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে পাপের বিনাশ সম্ভব, সেইসঙ্গে দুরাত্মাকে বিতাড়িত করা সম্ভব।
বলা হয়, হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে আপনার চারিপাশে একটা ইতিবাচক প্রভাব বিরাজ করে। হনুমান মন্ত্র পাঠ করলে আপনার আশেপাশের যাবতীয় নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়। সেইসঙ্গে আপনার জীবনেও একটা পজেটিভ ভাউব সর্বক্ষণ কাজ করে। তাছাড়া বলা হয়, ভক্তিভরে হনুমানজীকে ডাকলে তিনি তাঁর কোনও ভক্তকেই নিরাশ করেনা।
আবার অনেকে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য নিয়ে আসার জন্য নিয়ম করে হনুমান চল্লিশা পাঠ করে থাকে। সৌভাগ্য ফিরে পাওয়ার জন্য অনেকে হনুমান চল্লিশা পাঠ করে থাকেন। এরজন্য প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার রাতে হাত-মুখ ধুয়ে এই মন্ত্র পাঠ করা যেতে পারে হনুমান মন্ত্র পাপ, যা কিছু দুরাত্মা তার বিনাশ করতে পারে। প্রতিদিন স্নান করে উঠে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে পাপের বিনাশ সম্ভব, সেইসঙ্গে দুরাত্মাকে বিতাড়িত করা সম্ভব। হনুমানজি কে সবসময় শক্তির উতস হিসেবে পূজো করা হয়।