বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তথা RBI (Reserve Bank of India) ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে তার মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে। মূলত, খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারে (CPI) ক্রমাগত হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে মরগান স্ট্যানলি এই অনুমান করেছে। জানিয়ে রাখি যে, RBI-এর শেষ মনিটারি কমিটির সভায় রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। রেপো রেট হল সেই হার যার মাধ্যমে RBI বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়। রেপো রেট কমালে সমস্ত সুদের হার কমে যায়।
সুখবর শোনাতে পারে RBI (Reserve Bank of India):
ইতিমধ্যেই মরগান স্ট্যানলির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করছি যে RBI ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে তার মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে। যদি এই হ্রাস ঘটে, তাহলে ডিসেম্বরে রেপো রেট ৫.২৫ শতাংশে নেমে আসবে।’ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, RBI নীতিগত অবস্থানে সতর্ক থাকার থাকতে চাইছে। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সম্ভবত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ পদ্ধতি গ্রহণ করবে। তারা সুদের হার, নগদ অর্থের প্রাপ্যতা এবং নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত ত্রি-মুখী বিষয়গুলির প্রভাব মূল্যায়ন করবে।

মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে: রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে সরকার আর্থিক ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন অব্যাহত রাখবে। যেটি ধীরে ধীরে আর্থিক ঘাটতি কমানোর দিকে মনোনিবেশ করবে। তবে মূলধনী ব্যয়কেও অগ্রাধিকার দেবে। মধ্যমেয়াদে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য এই পদক্ষেপগুলি প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: U-19 World Cup-এ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হবে না কোনও ম্যাচ? ICC-র জারি করা শিডিউলে বড় চমক
এদিকে, রিপোর্টে মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। মরগান স্ট্যানলি অনুমান করেছে যে, ২০২৫ সালে নিম্ন স্তরে থাকার পর, ২০২৬-২৭ সালে CPI সামান্য বৃদ্ধি পাবে। যা অবশেষে RBI-এর ৪ শতাংশের মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি চলে আসবে।
আরও পড়ুন: জমে উঠেছে লড়াই! এই পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে কড়া টক্কর বৈভব সূর্যবংশীর
উল্লেখ্য যে, দুর্বল ভিত্তির কারণে খাদ্যমূল্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, অন্যদিকে মূল মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সংস্থাটির অনুমান, খাদ্য এবং মূল মুদ্রাস্ফীতি উভয়ই বার্ষিক ৪ থেকে ৪.২ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং জনসাধারণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এদিকে, বহিরাগত ক্ষেত্রে, ভারতের চলতি হিসাবের ঘাটতি ১ শতাংশের কাছাকাছি বা তার নিচে থাকবে এবং এক্ষেত্রে কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাবে না। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, ভারতের বহিরাগত আর্থিক অবস্থান শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল রয়েছে। যেটি বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার, পর্যাপ্ত আমদানি কভারেজ এবং GDP-র তুলনায় নিম্ন বৈদেশিক ঋণের অনুপাত দ্বারা সমর্থিত।












