বাংলাহান্ট ডেস্ক: মধ্যবিত্তদের একের পর এক ঝটকা দিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reseve Bank of India)। কয়েকদিন আগেই রেপো রেট আরও বাড়ানো হয়েছিল। আগামী মাসে ফের বৈঠকে বসার কথা মুদ্রানীতি কমিটির। সেখানে সুদের হার বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর। দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের উপর চলে গিয়েছে। মার্কিন ফেডেরাল রিজার্ভ সহ অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি তাদের সুদের হার বাড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কও তাদের রেপো রেট বাড়াতে পারে বলে সূত্রের খবর। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মুদ্রানীতির প্রথম বৈঠক আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল অবধি চলার কথা। সেই বৈঠকেই সুদের হার সম্পর্কিত সব কিছু চূড়ান্ত হতে পারে বলে খবর। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আবারও রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর দিকে হাঁটতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
শুধু তাই নয়, ওই বৈঠকে উচ্চ খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার এবং অন্যান্য দেশগুলির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পদক্ষেপগুলির বিবেচনা করা হতে পারে। গত বছর মে মাসে ২.৫০ শতাংশ রেপো রেট বাড়িয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এক টানা পাঁচ বার রেপো রেট বাড়িয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপের ফলে মুদ্রাস্ফীতির হারও কমেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পলিসি রেট বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
গত ২০২২ সালের মে মাসে রেপো রেট ০.৪০ শতাংশ, জুন মাসে ০.৫০ শতাংশ, আগস্ট মাসে ০.৫০ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ০.৫০ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে ০.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেপো রেট আবারও ০.২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। মুদ্রানীতি কমিটির পরবর্তী বৈঠকে আবারও যদি রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়, তাহলে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৬.৭৫ শতাংশ। এর ফলে চাপ পড়বে মধ্যবিত্তের পকেটে।
রেপো রেট বাড়লে গৃহ ঋণ, গাড়ি ঋণ এবং ব্যক্তিগত ঋন সমেত সমস্ত ঋণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। এর জেরে বাড়বে ইএমআইয়ের হার। উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট সরাসরি প্রভাবিত করে ব্যাঙ্কের ঋণকে। রেপো রেট কমলে ঋণের দাম কমে। অন্যদিকে রেপো রেট বাড়লে ঋণের দাম বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সমস্ত ধরনের ঋণের উপর। রেপো রেট হল সেই হার যে হারে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাই রেপো রেট বাড়লে ব্যাঙ্কগুলিকেও বেশি টাকা দিতে হয় ইএমআই বাবদ। ফলে প্রভাব পড়ে উপভোক্তাদের পকেটের উপর।