বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাত্র ৩৪ বছর বয়সে চলে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput)। ফের এক নক্ষত্রপতন হল বলিউডে (bollywood)। এমন এক প্রতিভার অবস আনে শোকগ্রস্ত গোটা অভিনয় জগৎ। তাঁর মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে একটা গোটা দিন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিয়ে চর্চা এখনও অব্যাহত রয়েছে। নানা মুনি নানা মত পেশ করছেন এই প্রসঙ্গে। অনেকেই বলছেন, অর্থ যশ সবকিছু থাকা সত্ত্বেও কেন এমন পথ বেছে নিলেন সুশান্ত।
সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলিউডের স্বজনপোষন বা নেপোটিজম (nepotism) বিতর্ক। বংশানুক্রমে সিংহাসনে বসার ব্যাপিরটা অভিনয় জগতেও যে ভরপুর পরিমানে রয়েছে তা জানেন অনেকেই। কেউ স্বীকার করেন আবার কেউ করেন না। কিন্তু এতদিন এই নিয়ে জলঘোলা হলেও সুশান্তের মৃত্যু যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে নেপোটিজমের ভয়াবহতা।
ঘরের ছেলের মৃত্যুতে কার্যত তোলপাড় চলছে বিহারের পাটনায়। অনেকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন পরিচালক করণ জোহর ও অন্যান্য তারকা সন্তানদের। তাঁদের দাবি, বলিউডের নেপোটিজমের কারনেই সঙ্কটে পড়েছিল সুশান্তের কেরিয়ার। সাদাসিধে ছেলে পেয়ে বলিউডের বহু তারকা নিংড়ে নিয়েছে তাঁকে। বলিউডই বাধ্য করেছে সুশান্তকে আত্মহত্যা করতে, এমনটাই মত একাংশের।
সেই ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পরিচালক করণ জোহর, সলমন খানদের ওপর। পাটনার রাস্তায় পোড়ানো হল করণ, সলমনদের কুশপুতুল। রাস্তা জুড়ে চলল সুশান্তের অনুরাগীদের বিক্ষোভ। কোথাও কুশপুতুল পুড়িয়ে আবার কোথাও মোমবাতি মিছিল করে চলল বিক্ষোভ প্রদর্শন। উঠল সলমন, করণ জোহরদের বয়কট করার দাবিও।
সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এমনটাই বক্তব্য অনেকের। অভিনেতার মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছে তারা। জন অধিকার পার্টির প্রধান রাজেশ রঞ্জন মঙ্গলবার ফের সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে সুশান্তের মৃত্যু্র জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি।
সম্প্রতি পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের (anurag kashyap) দাদা অভিনব কাশ্যপ (abhinav singh kashyap) মন্তব্য করেন বলিউডে নতুন প্রতিভাদের কেরিয়ার নষ্ট করার পেছনে মূল হাত রয়েছে সলমন খান (salman khan) পরিবারের। সলমন ও তাঁর দুই ভাই আরবাজ ও সোহেল তাঁর কেরিয়ার শেষ করতে উঠে পড়ে লাগেন। এমনকি তাঁকে খুন ও পরিবারের মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও তাঁরা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন অভিনব।
সলমন খানকে বয়কটের ডাক দিয়ে অভিনব বলেন, সুশান্তের মতো নির্দোষ মানুষদের আর অকালে চলে যেতে দেবেন না তিনি।