বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক লাফে অনেকটাই কমে গেল পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (Retail Inflation)। বিশেষত খাদ্যদ্রব্য এবং জ্বালানির দামের দিকে নজর রেখেই মুদ্রাস্ফীতির হার কমানো হয়েছে। ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৪.৭ শতাংশ। আবার মে মাসে তা ছিল ৭.০৪ শতাংশ।
এই নিয়ে মোট চারবার নামলো পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার। এছাড়াও কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স নির্ভর মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও এসেছে সুখবরের বার্তা। জানা যাচ্ছে, আরবিআই এর টার্গেট এর মধ্যেই রয়েছে সিপিআই ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিলে কমেছিল মুদ্রাস্ফীতি। সে সময় ৪.২৩ শতাংশ ছিল মুদ্রাস্ফীতি। ২০২৩ সালের মে মাসে যা অনেকটাই কমে গেল। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ৪.২৫ শতাংশ। জানা যাচ্ছে, পাইকারি মুদ্রাস্ফীতিকে আয়ত্তের মধ্যে রাখতে ৪ শতাংশের আশেপাশে টার্গেট ছিল রিজার্ভ ব্যাংকের। কেন্দ্রও চেয়েছিল অল্পের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি রাখতে।
এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রেপো রেট। গত সপ্তাহে নিজেদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। আপাতত এই ত্রৈমাসিকে রেপোরেট থাকবে ৬.৫ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল রেপোরেট। আর জুন মাসের ক্ষেত্রেও দেখা গেল সেই একই পদক্ষেপ।
অন্যদিকে খাদ্যদ্রব্যে মুদ্রাস্ফীতি মে মাসে রয়েছে ২.৯১ শতাংশ। যা এপ্রিল মাসের থেকে ৩.৮৪ শতাংশ কম। জ্বালানি সমেত বাকি বিভিন্ন জিনিসের মুদ্রাস্ফীতি গত এপ্রিল মাসের মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪.৬৪ শতাংশ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা মহামারীর জেরে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। আর সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির কমতি একটি দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা।