বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ডাক্তারকে শুধুমাত্র হিন্দি (Hindi) না জানার কারণে লোন দেওয়া হয়নি। আরিয়ালুর জেলার অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার অভিযোগ করে বলেছেন যে, ওভারসিস ব্যাঙ্কের ম্যানেজার শুধু ওনার সাথে অভদ্র আচরণই করে নি, ওনাকে হিন্দি না জানার কারণে লোন দেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তারের অভিযোগের পর নড়চড়ে বসে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ম্যানেজারকে তৎকাল অন্য জেলায় ট্র্যান্সফার করা হয়েছে। ডঃ সি বালাসুব্রমনিয়াম (Dr C Balasubramanian) জানান, তিনি নিজের ইঞ্জিনিয়ারিং বন্ধুদের সাথে লোনের জন্য ওভারসিস ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ওনার সাথে অভদ্রের মতো আচরণ করে।
অভিযুক্ত ম্যানেজার তামিলনাড়ুর বাসিন্দা না। ম্যানেজার প্রবীণ নাগরিককে অকারণে অপেক্ষা করায় আর ১০ মিনিট পর্যন্ত ওনাকে দাঁড় করিয়ে রাখে। বালাসুব্রমনিয়াম জানান, ম্যানেজার সমস্ত কাগজপত্র দেখার পর জানায় যে, এটা তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে তাই লোন দেওয়া সম্ভব হবে না। এরপর ডঃ বালাসুব্রমনিয়াম ম্যানেজারকে বোঝানোর চেষ্টা করে, তখন ম্যানেজার ভাষা নিয়ে আপত্তি জাহির করেন। উল্লেখ্য, বালাসুব্রমনিয়াম ইংরেজিতে কথা বলছিলেন। অভিযুক্ত ম্যানেজার ওনাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনি হিন্দি জানেন? যখন ডঃ বালাসুব্রমনিয়াম হিন্দি জানেন না বলে জানিয়ে দেন। তখন অভিযুক্ত ম্যানেজার ভাষার সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে আর কথা বলবে না বলে জানিয়ে দেয়।
ডঃ বালাসুব্রমনিয়াম ম্যানেজারকে বলেন যে তিনি শুধু ইংরেজি আর তামিল ভাষা জানেন। আর তিনি ইংরেজিতেই ওনাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু অভিযুক্ত ম্যানেজার ওনার একটিও কথা শোনার জন্য রাজি হন নি আর লোনের আবেদন খারিজ করে দেন। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের আচরণে কষ্ট পাওয়া ডঃ বালাসুব্রমনিয়াম বলেন, ‘যদি কাউকে সঠিক কারণ দেখিয়ে লোন দেওয়া থেকে মানা করা হয়, তাহলে সেটা মানা যায়। কিন্তু ভাষার প্রসঙ্গ তুলে এরকম বৈষম্য কীভাবে করা যায়?” ডঃ জানান, অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।