বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রাই। গত ৯ আগস্ট হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারের মৃতদেহ। ২৪ ঘণ্টা হওয়ার আগেই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, বিগত এক মাস ধরে নাকি একই পোশাকে রয়েছেন তিনি (RG Kar Case)। এবার সেই পোশাক থেকে বিশ্রী গন্ধ বেরোতে শুরু করেছে।
গায়ের গন্ধে নাজেহাল গোয়েন্দারা (RG Kar Case)!
কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, সঞ্জয়ের (Sanjoy Roy) দাঁতের নমুনা সংগ্রহ করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এবং সিবিআই আধিকারিকরা। তখনই নাকি সঞ্জয়ের গায়ের গন্ধ নাকে আসে তাঁদের। বিশ্রী সেই গন্ধের জেরে তদন্তকারীদের নাক সিঁটকোতে হয়েছিল বলে খবর। এরপর অবশ্য সঞ্জয়ের এক পরিচিত তাঁকে নতুন জামা এবং ট্রাউজার দিয়ে যান।
- কষ্ট হচ্ছে! কারারক্ষীদের জানান সঞ্জয়
চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা এক। সিবিআই (CBI) আর কাউকে গ্রেফতার করেনি। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার সময় সঞ্জয়ের পরনে যে পোশাক ছিল, বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি সেটা পরেই রয়েছেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ মিলবে না এই পুজোর ছুটি! সরকারি কর্মীদের মাথায় হাত! জানুন রাজ্য সরকারের নয়া আপডেট
প্রথমে পুলিশ (Kolkata Police) হেফাজতে ৩-৪ দিন কাটান সঞ্জয়। এরপর সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার পর সিবিআই হেফাজতেও একই পোশাক পরে ছিলেন। বর্তমানে আদালতের নির্দেশ মতো জেলে রয়েছেন তিনি। সেখানেও এতদিন একই পোশাকে ছিলেন বলে খবর। মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সঞ্জয় নিজে নাকি জামাকাপড় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ সেলের কারারক্ষীদের কাছে আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) ধৃত জানান, একই পোশাকে সে আর থাকতে পারছে না। তাঁর এবার কষ্ট হচ্ছে। জবাবে কারারক্ষীরা জানান, তাঁর বাড়ি থেকে কেউ এসে যদি অন্য পোশাক দিয়ে যায়, তাহলে সেটা নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তেমনটা না হলে তাঁকে একই জামাকাপড়ে থাকতে হবে।
এদিকে সঞ্জয়ের দিদি, বোনেরা আগেই জানিয়েছেন, পরিবারের কেউ তাঁর পাশে নেই! জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের মা কালীঘাটে থাকেন। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে হাঁটা পথের দূরত্বে তাঁর বাড়ি। কিন্তু তিনি অথবা সঞ্জয়ের পরিবারের কোনও সদস্যই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেননি বলে খবর (RG Kar Case)। শেষমেশ সঞ্জয়ের এক পরিচিত তাঁর জন্য কিছু পোশাক দিয়ে যান। বিষয়টি কানে আসতেই দু’টি জামা এবং দু’টি ট্রাউজার কিনে দিয়ে যান তিনি।