বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাব রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই আরজিকরের (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসছে নিত্য-নতুন মোড়। যদিও উত্তর মিলছে না একাধিক অজানা প্রশ্নের। এমনটাই মনে করছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্ত। তাঁর বক্তব্য ময়না তদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে নির্যাতিতার যোনি দ্বারে মিলেছে সাদা গাঢ় আঠালো রস। সেটা আসলে কী? তা জানার জন্য একটা প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা হওয়া উচিত ছিল।
আরজিকর কাণ্ডে আবার নতুন মোড় (RG Kar Case)
জানা গিয়েছে, আরজিকরের (RG Kar Case) তিলোত্তমার স্তনবৃন্তে কামড়ের দাগের যে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে Y ওয়াই ক্রোমোজম মিলেছে। তাই সেদিন যে ওই ঘটনাস্থলে কোনও পুরুষের উপস্থিতি ছিল তা একপ্রকার স্পষ্ট। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্তের কথায়, ‘ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নির্যাতিতার যোনিদ্বারে যে সাদা গাঢ় আঠালো রস মিলেছে সেটা কী ফ্লুইড নাকি যৌনাঙ্গের তরল?’
এরপরেই ওই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ‘সেটা জানা গেলে ভাল হত। স্তন বৃন্তের কামড়ের যে দাগ পরীক্ষা করা হয়েছে, সেখানে Y ক্রোমোজম ছিল। অর্থাৎ ওইদিন ঘটনাস্থলে এমন একজন পুরুষ ছিল যে তিলোত্তমার বুকে কামড় দাগ বসিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: বাঘ বন্দিতে উচ্ছসিত মমতা! খুশি হয়ে বনকর্মীদের তিনি বলেই ফেললেন…
অন্যদিকে ডিএনএ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম মজুমদার জানিয়েছেন আরজিকরের (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসকেরস্তনবৃন্তের নমুনা ধৃত সিভিকের ডিএনএর সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে। তবে চারটি AUTOSOMAL MARKER বলছে, অন্য পুরুষেরও ডিএনএ রয়েছে। জানা যাচ্ছে Y ক্রোমোজোম বিশ্লেষণে ধৃত সিভিকের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গিয়েছে।
যদিও নির্যাতিতার যোনি দ্বারের নমুনাতেও অন্য মহিলার উপস্থিতি মিলছে। D12S391 মার্কারে অন্য মহিলার সঙ্গে তিলোত্তমার নমুনার মিশ্রণ-ও স্পষ্ট। রিপোর্ট বলছে সেই অন্য মহিলার জেনোটাইপ হল ১৬/২২। এছড়াও D10S1248, D2S441, D16S539, D5S818 মার্কারেও চার পুরুষের ডিএনএ মিলেছে।