বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। গত এক সপ্তাহে ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একাধিক মোড় এসেছে। গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। রবিবার তাঁদের তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই আবহে সুপ্রিম শুনানিতে (Supreme Court) তিনটি বিষয় প্রাধান্য পেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোন কোন দিকে নজর থাকবে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court)?
আগামীকাল তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের (RG Kar Case) তদন্ত কতখানি এগিয়েছে সেটা জানাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তার আগে সন্দীপ এবং অভিজিতের গ্রেফতারি তদন্তকারী সংস্থাকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার সুপ্রিম শুনানির আগে জুনিয়র চিকিৎসকরা আইনজীবী বদল করেছেন। গীতা লুথরার পরিবর্তে আগামীকাল জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে দেখা যাবে দুঁদে উকিল ইন্দিরা জয়সিংহকে।
গত সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে একটি চালান নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা কিংবা রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল, কেউই সেই চালাতে দেখাতে পারেননি। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ ছিল, পোস্টমর্টেমের সময় ক্রাইম সিন থেকে উদ্ধার হওয়া সকল তথ্য প্রমাণ উল্লেখ করে একটি চালান থাকার কথা। তবে সেই চালান অমিল ছিল। রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে ওই চালানের কপি জমা করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠী অবধি সময়! দুর্গাপুজো কার্নিভালের প্রস্তুতি শুরু, আরজি কর কাণ্ডের আবহেই জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি
এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার আগে রাজ্যের সকল মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষা পরিকাঠামো মজবুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) সেই বিষয়ে স্টেটাস রিপোর্ট জমা করার কথা। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, অন্যান্য সুরক্ষা পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করার সঙ্গেই নির্দিষ্ট চারটি বিষয় হয়েছে কিনা সেটা সেটা খতিয়ে দেখতে পারে শীর্ষ আদালত।
সেই চার বিষয় হল, প্রত্যেক সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য ভিন্ন ডিউটি রুম ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা এবং হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো। মঙ্গলবারের শুনানির (Supreme Court) আগে সব জায়গায় এই কাজগুলি হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ও পুলিশ সুপারের।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সূত্র উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, আগামীকাল শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ না দেওয়ার কারণ হিসেবে এগুলি তুলে ধরতে পারেন তাঁদের আইনজীবী। সেই সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বারবার আন্দোলনকারীদের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার বিষয়টিরও উল্লেখ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।