বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। রবিবার রাত দখলের পর সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে নজর ছিল সকলের। এদিন সিবিআই এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে স্টেটাস রিপোর্ট (RG Kar Case) দেওয়া হয়। এরপর বেশ কিছু প্রশ্ন করেন বিচারপতিরা। নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত থেকে শুরু করে সিসিটিভি ফুটেজ, একাধিক বিষয়ে জানতে চায় আদালত।
৯০ ডিগ্রি কোনে ছিল নির্যাতিতার দু’পা (RG Kar Case)!
এদিনের শুনানিতে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ‘বলা হচ্ছে, মৃতার দুই পা ৯০ ডিগ্রি কোণে ছিল। হাঁটু ভাঙা না হলে এমনটা সম্ভব নয়’। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনার পর হাসপাতালের শৌচাগারের সকল টাইলস বদলে দেওয়া হয়েছে। তাই যদি অভিযুক্তের লুমিনেল পরীক্ষাও করা হয়, তাহলে কিছু পাওয়া যাবে না বলে দাবি করেন তিনি।
- নমুনা সংরক্ষণ ঠিকভাবে হয়নি?
আদালতে (Supreme Court) সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সিএফএসএল তথা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট বলছে, মৃতার শরীরে জিন্স এবং অন্তর্বাস ছিল না। নির্যাতিতার বডি সেমি নেকেড অবস্থায় ছিল। একইসঙ্গে শরীরে আঘাতের চিহ্নও মিলেছে। এমতাবস্থায় কারা নমুনা সংগ্রহ করেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় বলে দাবি করেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, তুষার মেহতা আরও বলেন, আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) সময় সারণী ভীষণ জরুরি। পাশাপাশি জানান, ‘সোয়াব’ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়। তবে এই ঘটনায় সেটা হয়নি বলে দাবি করেন আইনজীবী। প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তদন্তকারী সংস্থা ফের পরীক্ষা করাতে চায় বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রাজ্যের আইনজীবীর কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের সময় ময়নাতদন্তের চালান দেখতে চান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সেখানে কার স্বাক্ষর রয়েছে জানতে চান তিনি (RG Kar Case)। তখন রাজ্যের আইনজীবী জানান, তাঁর কাছে এই মুহূর্তে সেই কপি নেই। তখন সিবিআইয়ের কাছে সেটি চান প্রধান বিচারপতি। জবাবে সলিসিটর জেনারেল জানান, তাঁদের যে নথিপত্র দেওয়া হয়েছিল সেখানে চালান ছিল না। একথা শুনে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, মৃতদেহের সঙ্গে কী কী সামগ্রী ছিল সেটা ওই চালানেই লেখা থাকে। ওটা ছাড়া কীভাবে ময়নাতদন্ত হল?