বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের (RG Kar Case) তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দু’জন। এবার তাঁদের আইনজীবীর জোরালো সওয়ালে আদালতে চাপে পড়ে গেল সিবিআই!
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) গ্রেফতার সন্দীপ-অভিজিৎ
শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে সন্দীপ-অভিজিতের ১০ দিনের জেলা হেফাজতের আবেদন করে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন এই দু’জন। সেই প্রমাণও মিলেছে। এখন দু’জনকে জামিন দেওয়া হলে সেসবের ওপর প্রভাব খাটানোর আশঙ্কা তৈরি হবে।
এদিকে আরজি করের (RG Kar Case) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের আইনজীবী আদালতে বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ধরেই নিয়েছে তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হবে না। প্রমাণ লোপাটের যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা জামিনযোগ্য বলে দাবি করেন সন্দীপের আইনজীবী। এরপর এই একই সুর শোনা যায় অভিজিতের আইনজীবীর গলায়।
আরও পড়ুনঃ ’১৫ অক্টোবর…’! দুর্গাপুজোর কার্নিভালের দিনই বিরাট ‘কর্মসূচি’? হাইকোর্টে ছুটলেন BJP বিধায়ক
টালা থানার প্রাক্তন ওসির আইনজীবী বলেন, ‘সিবিআইয়ের যেটা মনে হয়, সেটা আমাদের বলতে হবে। অভিজিতের বিরুদ্ধে সিবিআই যেসকল অভিযোগ এনেছে, প্রত্যেকটিই জামিনযোগ্য’। দুই আইনজীবীর জোরালো সওয়াল-জবাবে সিবিআই খানিক চাপে পড়ে যায় বলে খবর। এরপর তারা জামিন আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে। তাতেই আরও তেতে ওঠেন সন্দীপ (Sandip Ghosh)-অভিজিতের আইনজীবী।
অভিজিতের (Abhijit Mondal) আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্য সরকারের আগাম অনুমতি ছাড়া কীভাবে একজন কর্তব্যরত ওসিকে গ্রেফতার করলেন? যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রত্যেকটা তো জামিনযোগ্য। যে কোনও শর্তে আমার মক্কেলকে জামিন দিন’। এদিন অভিজিৎ নিজে আবার বলেন, ‘সিবিআই প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করছে। টালা থানা থেকে ওরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল। সেটার ভিত্তিতে আমায় গ্রেফতার করেছে। আমি টালা থানার ওসি ছিলাম। তবে সেখানে সিসিটিভি নষ্টের তো কোনও অভিযোগ নেই’।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। বর্তমানে এই ঘটনার (RG Kar Case) তদন্ত করছে সিবিআই। এখনও অবধি এই ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা তিন। সঞ্জয় রায়, সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে সন্দীপ এবং অভিজিৎকে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।