বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যা কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করার পর গতকালই সাজা ঘোষণা করা হয়েছে সঞ্জয় রায়ের। যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে দোষী সিভিক ভলান্টিয়ারের। যদিও বিচারক অনির্বাণ দাসের এই রায় সামনে আসার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সবাই। আশাহত হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। সন্তুষ্ট হতে পারেননি কেউই।
কেমন আছে ‘আরজি কর দোষী’ (RG Kar) সঞ্জয়?
শুরু থেকেই আরজি কর (RG Kar) মামলার অপরাধী সঞ্জয়ের ‘ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট’ দাবি করা হয়েছিল। গতকাল আদালতে সাজা ঘোষণার সময় প্রায় কেঁদেই ফেলেছিল সঞ্জয়। সাজা শোনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া মাথায় উঠেছে তার। জেলের খাবারে অরুচি, মুখেও তুলছে না সঞ্জয়। এমসিএলে নিয়ে আসা হলে তাকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহের শনিবার শিয়ালদা আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায়কে আরজি করের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকান্ডে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। তারপর গতকাল সোমবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তিলোত্তমার পরিবারকে ৫০ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, জরিমানার টাকা না দিলে আরও ৫ মাস কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে সব মিলিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী! আইসিডিএস ও আশা কর্মীদের জন্য বিরাট ‘সুখবর’ মমতার
সোমবার বিচারক তাকে আমৃত্যু কারাবাসে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকেই ভাবলেশহীন হয়ে দাঁড়িয়েছিল আরজিকর কান্ডের দোষী সঞ্জয়। জাস্টিস দাস গতকাল বিকেলে সাজা ঘোষণা করার পর, এজলাস ছাড়ার সময় সঞ্জয়কে বিড়বিড় করে কিছু বলতে শোনা যায়। এজলাস থেকে বেরোনোর সময় আইনজীবীরা তাকে জানান শিয়ালদহ আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়নি, আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে তার. এই কথা শোনার পর সঞ্জয় শুধু একটাই কথা বলেছিল, ‘বদনাম হয়ে গেলাম’।
গতকাল সাজা ঘোষণা করার আগে নিয়মমাফিক বিচারক তার বক্তব্য শুনতে চেয়েছিলেন। তখনও সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে বলেছিল,’আমি কোনটাই করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আগের দিনও বলেছি অনেক কিছু নষ্ট করা হয়েছে। আমি শুনেছি। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল। আমাকে মারধর করা হয়েছে। যে যা ইচ্ছা করছে। যেখানে খুশি সই করিয়ে নিচ্ছে।’