বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন আগের লালবাজার অভিযানের স্মৃতি এখনও টাটকা। টানা ২২ ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরপর লালবাজার গিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল। লালবাজারের পর এবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে (Swasthya Bhaban Abhijan) নেমেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতভর অবস্থান করেছেন আন্দোলনকারীরা। এবার জানানো হল, তাঁরা আলোচনায় বসতে তৈরি। তবে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত!
একগুচ্ছ শর্ত বেঁধে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Swasthya Bhaban Abhjan)!
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। গেট বন্ধ থাকায় রাস্তাতেই বসে পড়েন তাঁরা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাতভর স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসেছিলেন প্রতিবাদকারী ডাক্তাররা। তাঁদের অবস্থান মঞ্চে আসেন আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার পরিবার। প্রয়াত চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘আশা করি প্রশাসনের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আশা করছি আমরা বিচার পাব’।
- কী বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা?
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেল ৫টার ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় অতিক্রান্ত হয়েছে বহু আগেই। তবে আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবিতে অনড়। জুনিয়র ডাক্তারদের কথায়, তাঁদের দাবি না মানা অবধি অবস্থানেই বসে থাকবেন। সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকে সদর্থক পদক্ষেপ লক্ষ্য করলেই এই অবস্থান তোলা হবে।
আরও পড়ুনঃ আবাস যোজনার নিয়ম বদল! এবার টাকা ঢুকবে এইদিন, পুজোর আগেই নয়া আপডেট!
এদিকে গতকালই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। ইমেল পাঠিয়ে তাঁদের আলোচনায় বসার কথা বলা হয়। জানা যাচ্ছে, সেখানে বলা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা বসতে চান (Swasthya Bhaban Abhijan)। তবে ইমেলের ভাষা নিয়ে প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসকদের আপত্তি ছিল বলে খবর। তবে এবার আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে জানানো হল, তাঁরা আলোচনায় বসতে তৈরি।
প্রতিবাদকারী জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, ‘১০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে আমাদের দেখা করতে বলা হয়েছে। তবে আমাদের দাবি, অন্তত ২৫ জন যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে’। একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, আলচনায় বসলেই অবস্থান (Swasthya Bhaban Abhijan) তুলে নেওয়া হবে এমনটা নয়। তাঁদের দাবি পূরণের জন্য সরকারের তরফ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেটা দেখার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।