বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত আগস্ট মাস থেকেই শিরোনামে রয়েছে আরজি কর। মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনার (RG Kar Case) পর সামনে এসেছে একাধিক অভিযোগ। তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জমানায় হওয়া দুর্নীতি থেকে শুরু করে ‘থ্রেট কালচার’, একাধিক বিষয় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এমতাবস্থায় আরজি করের ‘থ্রেট কালচার’এর অভিযোগের অনুসন্ধান রিপোর্ট পেশ করা হল।
অভিযুক্তদের ৩টি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে (RG Kar Case)!
আরজি করের অন্দরে ‘থ্রেট কালচার’এর (Threat Culture) অভিযোগের জন্য গড়ে দেওয়া কমিটি সম্প্রতি অধ্যক্ষের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে অভিযুক্ত ৫৯ জনকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে রাখা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তদের মধ্যে বেশিরভাগই জুনিয়র ডাক্তার, হাউস স্টাফ এবং ইন্টার্ন।
তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত ৫৯ জনের মধ্যে ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সম্পূর্ণ সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের ক্যাটাগরি ১-এ রাখা হয়েছে। ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিলেছে। তাঁদের ক্ষেত্রে আরও কিছুটা তদন্ত প্রয়োজন এবং বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ অত্যন্ত দুর্বল।
আরও পড়ুনঃ ফেঁসে গেলেন জ্যোতিপ্রিয়! রেশন দুর্নীতি মামলায় ED-র ‘মোক্ষম চাল’! ফাঁস হতেই তোলপাড়
এখানেই শেষ নয়! যে ১৩ জন ফ্যাকাল্টির বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’এ জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে আলাদা তদন্ত কমিটি (Investigating Committee) গড়ে দেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্টের কথা প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনার (RG Kar Case) পর থেকেই চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে রাজ্যের নানান মেডিক্যাল কলেজ হওয়া ‘থ্রেট কালচার’এর অভিযোগ। জুনিয়র চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের অনেকে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। আরজি করে যেমন ‘থ্রেট কালচার’এর অভিযোগে অভিযুক্ত ৫৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। এবার অধ্যক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হল।
এদিকে আরজি কর ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) কথা বলা হলে, বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়েছে। সেখানে ফের একবার তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা দেখে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সিবিআই তদন্তে অনেক জরুরি তথ্য উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে যাক’।