বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় (Doctor Rape and Murder Case) উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা। ঘটনার রহস্যভেদ করতে মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুন্দীপ ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এরই মাঝে সামনে এল তিলোত্তমার লেখা ডায়েরি।
অভিশপ্ত রাতেও ডায়েরি লিখেছেন তিলোত্তমা (RG Kar)
তিলোত্তমার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ডায়েরি। যা ইতিমধ্যেই সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে। জানা যাচ্ছে নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন তিলোত্তমা। তিলোত্তমার মা জানিয়েছেন, মেয়ে জীবনের সবটুকু খুঁটিনাটি বিষয় নিয়মিত তুলে রাখত ডায়েরির পাতায়। ওই রাতেও লিখেছেন তিলোত্তমা। এমনটাই জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে।
তিলোত্তমার বাবা জানিয়েছেন, ওই ঘটনার কিছুদিন আগে থেকেই নাইট শিফট করতে চাইতেন না মেয়ে। ঠিক কী কারণে তাঁর এই অনিচ্ছা? কী চলছিল তাঁর মনে? এই সমস্ত বিষয়ও তিলোত্তমা ওই ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন বলে ধারণা পরিবারের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিলোত্তমার জিনিসপত্রের মধ্যে একটি ডায়েরি ছিল। একটি লুজ পাতা ছিল। পাতা সহ সেই ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, সেই খোলা পাতায় লেখা ছিল, কীভাবে তিলোত্তমা বাবা মা কে ভালো রাখতে চায়। খোলা পাতা সহ ডায়েরি ইতিমধ্যেই সিবিআই কে হস্তান্তর করেছে রাজ্য পুলিশ। তিলোত্তমা ধর্ষণ খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মৃতার বাবার দাবি, ‘এর পিছনে একটা বড় চক্র কাজ করছে। সেটা কী তা জানা নেই। মেয়ে কোনওদিন বলে যায়নি। ও আমাদের টেনশন দিতে চাইত না। যেদিন মারা গিয়েছে সেদিনও ডায়েরি লিখে গিয়েছে। সেটা সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে।”
আরও পড়ুন: সকাল থেকে ঝড়-বৃষ্টির তোলপাড় দক্ষিণবঙ্গে! কখন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার খবর
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে এ নিয়ে শুনানি রয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ মামলার শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করছে সুপ্রিম কোর্ট। (RG Kar Doctor Death Case)
কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে উত্তাল দেশ। গত ৮ আগস্ট, মারা যাওয়ার দিন নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন পরনের পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। সেমিনার হলে ছিল না কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা। তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যৌনাঙ্গে ও গলায় ছিল ক্ষত। আঘাতের চিহ্ন ছিল মুখে, পায়ে, নখে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আরও কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।