বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন! শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন, সারা দেহে আঁচড়-কামড়ের দাগ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখলে কার্যত শিউড়ে উঠতে হয়। কিন্তু কেন নিশানা করা হল ওই তরুণী ডাক্তারকে (RG Kar Incident)? এবার বিস্ফোরক দাবি সিবিআই আধিকারিকের।
কেন ‘ধর্ষণ’, ‘খুন’ হতে হল আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে (Incident)?
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসপাতালের ভেতরে চলা ঘুষ চক্রের সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গেই সামনে এসেছে অবৈধ ওষুধ চক্রের কথা। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরজি করের (RG Kar Hospital) ভেতর চলতে থাকা নানান অনৈতিক কাজকর্মের কথা জেনে যায় নিহত তরুণী। সম্ভবত সেই কারণেই ‘টার্গেট’ করা হয় তাঁকে।
সূত্রের খবর, সুবিধাজনক জায়গায় ট্রান্সফারের জন্য হাসপাতালের ভেতর ঘুষ চক্র চলত। এই বিষয়ে উচ্চপদস্থ এক সিবিআই (CBI) আধিকারিক বলেন, ‘আমরা জেনেছি, সেখানে ডাক্তার এবং প্রশাসনের একটি চক্র রয়েছে। যারা কিনা টাকার পরিবর্তে ডাক্তারদের ট্রান্সফার পোস্টিং দেওয়ায় জড়িত ছিল। যে সকল চিকিৎসক নিজেদের পছন্দের মেডিক্যাল কলেজে বদলি চাইতেন, তাঁদের থেকে ২০-৩০ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হতো’।
আরও পড়ুনঃ ‘পুলিশ আগেই এসে বলেছিল ও…’, তড়িঘড়ি নির্যাতিতার দেহ সৎকার নিয়ে মুখ খুললেন শ্মশান ম্যানেজার
সিবিআই আধিকারিকের দাবি, হাসপাতালের অন্দরে চলতে থাকা এমন চক্রের কথা জানতে পেরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নির্যাতিতা। নানান রকমভাবে প্রতিবাদও করেন তিনি। সেই কারণেই সম্ভবত তাঁকে ‘টার্গেট’ করা হয় বলে অনুমান তদন্তকারী আধিকারিকের।
ঘুষ চক্রের পাশাপাশি আরজি করের হাসপাতালে চলা বেআইনি ওষুধ চক্রের (RG Kar Incident) কথাও সিবিআই জানতে পেরেছে বলে খবর। সরকারের কেনা কোটি টাকার ওষুধ পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যা কিনা অবৈধ চক্রের মাধ্যমে নানান প্রাইভেট মেডিক্যাল স্টোরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আমলারাও এর সঙ্গে জড়িত, তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে খবর।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) তদন্তভার নেওয়ার পর থেকে এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ উঠতে শুরু করেছে। তবে গত ৬ দিন রোজ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্ত এবার ধীরে ধীরে কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।