বাংলা হান্ট ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ড (RG kar College) এক বছর অতিক্রান্ত। এখনো অব্দি এই ঘটনা একমাত্র সঞ্জয় রায় কে অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও সিবিআই এর তরফ থেকে। তবে এই ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তাদের তদন্তের ভিত্তিতে আদালত সঞ্জয় রায়ের আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সঞ্জয় রায় একমাত্র দায়ী হিসেবে মানতে নারাজ নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা বাবা। পাশাপাশি এমনটাই সুর শোনা গেল তৃণমূলের অন্দরমহল থেকে। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আসল আসামিকে খুঁজে বার করাটাই উদ্দেশ্য। অন্যদিকে একই সুর তুলেছেন তৃণমূলের তিনবারের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তার মতে এখনো পর্যন্ত এই ধর্ষণকাণ্ডের (Rape Case) সকলে ধরা পড়েনি।
আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য রচনা- চিরঞ্জিতের (RG kar)
২০২৪ অগষ্ট মাসের ৯ তারিখ আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে এক নৃশংস ধর্ষণ হত্যাকাণ্ড। এই ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে সকলকে বিস্মিত করেছিল। হয়েছিল রাত জাগার আন্দোলন। পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রথম কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায় কে গ্রেফতার করে। যদিও এই ঘটনা পড়ে সিবিআই (CBI) দেখভাল করেন। সিবিআই (CBI) এর তদারকিতে একমাত্র সঞ্জয় রায় কে দোষী বলে জানানো হয়। যার ফলে সঞ্জয় রায় কে আমি তো কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। তবে এই কাণ্ডের সঙ্গে একা যে সঞ্জয় রায় জড়িত তা বিশ্বাস করেন না নিহত চিকিৎসকের মা বাবা। তাদের মতে এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। এবার এই একই সুর দেখা দিল অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjit Chakraborty) মুখে।
অভিনেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী জানান, মনে হয় না এই ঘটনাটি শুধুমাত্র সঞ্জয় রায় করেছে। সিবিআই কেন চোখ বন্ধ করে রয়েছে তা বুঝতে পারছি না। চিরঞ্জিত আরও জানান, তিনি নির্যাতিতা পরিবারের পাশে আছেন।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরলের সমস্যায় নাজেহাল? প্রতিদিন এই ৩ টি পানীয়র পান করুন, আর দেখুন ‘ম্যাজিক’
আরজিকর কাণ্ডে (RG Kar Case) প্রথম থেকেই সরব ছিলেন হুগলি তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। তিনি বলেন আসল আসামিকে খুঁজে বার করতে হবে। তার মতে একা সঞ্জয় রায় এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে আসামিকে খুঁজে বের করাটাই মূল উদ্দেশ্য। এই নৃশংস ঘটনার অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি তিনি দাবি করেন। তার মতে যারা বা যিনি এই কাজটি করেছে তারা তো সাংঘাতিক উন্নয়নের কাজ করেছে। অভিযুক্তদের শাস্তি পাওয়া একান্তই দরকার।
প্রসঙ্গত, দলীয় সাংসদ ও বিধায়কের এহেন মন্তব্য শুনে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের অন্তর মহল। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ জানান, তাঁরা যদি কিছু জেনে থাকেন তাহলে সেটি সিভিয়ার কাছে বলুক। কুনাল ঘোষ আরও জানান, এই ঘটনার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এবার প্রশ্ন ধর্ষণ ওক্ষণ কাণ্ডে যদি আর কেউ জড়িত থাকে তাহলে সিবিআই (CBI) কি খুঁজে বের করে আনবেন না।