বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাদক মামলায় জেলে বন্দি রিয়ার (Rhea Chakraborty ভাই শৌভিক (souvik Chakraborty) যদি এই ভুলটা না করত, তাহলে NCB ওঁর অত সহজেই কলার ধরতে পারত না। প্রসঙ্গত, যখন NCB রিয়া আর তাঁর ভাই শৌভিক, স্যামুয়েল মিরান্ডা আর দীপেশের অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্ত করছিল, তখন NCB এর নজর রিয়ার কার্ডের সাথে হওয়ার একটি পেমেন্টে পড়ে। ওই পেমেন্ট ড্রাগ প্যাডলারকে করা হয়েছিল।
সুত্র অনুযায়ী, শৌভিক কয়েকমাস আগে স্যামুয়েল মিরান্দাকে এক ড্রাগ প্যাডলারের কাছে পাঠিয়েছিল। কিন্তু, কপাল খারাপ হওয়ার কারণে স্যামুয়েল তখন পয়সা নিয়ে যেতে ভুলে যায়। সেখানে পৌঁছে স্যামুয়েল শৌভিককে ফোন করে আর পেমেন্ট করার জন্য বলে। এরপর শৌভিক রিয়ার কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে। এক ড্রাগ প্যাডলারের সাথে রিয়ার লেনদেনই NCB কে এদের কলার ধরার সুযোগ করে দেয়।
NCB এর সুত্র থেকে জানা যায় যে, ড্রাগসের খরচ বেশীরভাগ সময় সুশান্তের অ্যাকাউন্ট দিয়ে হত। প্রসঙ্গত, সুশান্তের ফ্লোর ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার কাছে বাড়ির খরচের টাকা থাকত। আর সেই টাকা দিয়েই স্যামুয়েল ড্রাগ কিনত। আর এই কথা স্যামুয়েল এবং শৌভিকের লিক হওয়া চ্যাট থেকেও জানা যায়। কিন্তু, লকডাউনের সময় স্যামুয়েল মিরান্ডা ছুটিতে চলে যায়, আরেকদিকে মুম্বাইয়ে ড্রাগ প্যাডলারের কাছে ড্রাগ সাপ্লাই কম ছিল, আর সেই কারণে রিয়ার ভাই শৌভিক নিজেই ড্রাগ প্যাডলারের সাথে যোগাযোগ করে।
লকডাউনের আগে শৌভিক বাসিত, জেদ আর কেজান ইব্রাহিমের থেকে ড্রাগ কিনত। রিয়া আর শৌভিক নিজেই স্বীকার করেছিল যে, রিয়া শুধু ড্রাগ কিনে সেবনই করত না, অনেক সময় সে ড্রাগ জমা করেও রাখত। আর এরপর NCB শৌভিকের চ্যাট ডিটেল পেয়ে যায়। সেখানে শৌভিক কর্মজিতের কথা উল্লেখ করে। ওই চ্যাট ১০ অক্টোবর ২০১৯ ৬ঃ১৮ মিনিটের। সেখানে শৌভিক কর্মজিত নামের একজনের রেফারেন্স দিয়েছিল।
এছাড়াও রাজ @MJ এর নামও শৌভিকের চ্যাটে পাওয়া যায়। শৌভিক যার থেকে ড্রাগস কেনার জন্য চ্যাট করছিল, সেই ব্যাক্তিকে শৌভিক কর্মজিত আর রাজের সাথে কথা বলার জন্য সূর্যদিপ নামের একজনের রেফারেন্স দেওয়ার কথা বলেছিল। এই পুরো চ্যাট ২০ মিনিটের ছিল। নমন আলুওয়ালিয়া (শৌভিকের বন্ধু) অনেক ড্রাগ প্যাডলারের সাথে যোগাযোগে ছিল আর শৌভিককে ড্রাগ কেনার জন্য সেই লিংক করিয়ে দিত। এবার NCB খুব শীঘ্রই নমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।