বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলায় যাবতীয় সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ছে রিয়া চক্রবর্তীর (rhea chakraborty) দিকে। সিবিআই (CBI), ইডি ও নারকোটিক কন্ট্রোলস ব্যুরো তিন তিনটি তদন্তকারী সংস্থার ঘেরাটোপে রয়েছেন তিনি। সিবিআই ইতিমধ্যেই দুদিন জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে রিয়ার উপর। এবার শোনা যাচ্ছে, তদন্তে সহযোগিতা না করার জন্য সিবিআই অফিসারের চড় খেতে হয়েছে রিয়াকে।
গত দুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবর খুবই ভাইরাল হচ্ছে। সিবিআইয়ের জেরা চলাকালীন এক অফিসারের থাপ্পড় খেতে হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করার জন্য নাকি আইপিএস নুপূর প্রসাদ থাপ্পড় কষিয়েছেন রিয়াকে। এই খবরের সত্যতা যদিও এখনও যাচাই হয়নি কিন্তু সুশান্ত অনুরাগীরা ইতিমধ্যেই ট্রোল শুরু করেছেন অভিনেত্রীকে।
জানা গিয়েছে একটি নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে প্রথম এই খবর প্রকাশ করা হয়। দেখতে দেখতেই তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি অনেকে রিয়ার সঙ্গে এক মহিলা আইপিএস অফিসারের ছবিও কোলাজ করে ভাইরাল করছেন।
https://twitter.com/AJ_luv_Dev1/status/1299276118030077952?s=19
তবে সূত্রের খবর, এই তথ্য শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো একটি ভুয়ো খবর। জেরায় সহযোগিতা না করার জন্য রিয়াকে থাপ্পড় মারার মতো কোনও ঘটনাই এখনও পর্যন্ত স্বীকার করেননি সিবিআই আধিকারিকরা।
https://twitter.com/puresoulSSR/status/1299262259038806016?s=19
Rhea Chakraborty Got slapped by CBI officer SP Nupur..!😹
Now Retweet If You Are Happy!! #StopPR4Killers
— ❥𝑹𝒊𝒂 𝒋𝒉𝒂 (@RiaJhaa) August 28, 2020
অপরদিকে রিয়া চক্রবর্তীও এই প্রসঙ্গে কোনও বক্তব্যই এখনও পর্যন্ত রাখেননি। তাই মনে করা হচ্ছে, এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো একটি ভুয়ো খবর। তবে সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে রিয়া জানান, উপর্যুপরি জেরায় তিনি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাও তিনি তদন্তে সাহায্য করতে চান।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রিয়া চক্রবর্তী দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে আসার আগেই মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন ছিলেন সুশান্ত। নিয়মিত মাদক কিনতেন তিনি। রিয়াই এসে এই নেশা ছাড়ানোর চেষ্টা করেন।
রিয়ার এই বক্তব্যের পরেই ক্ষেপে যান সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কৃতি। সুশান্তের বন্ধু ও কর্মচারীদের সঙ্গে তিনি যে মাদক চক্র ফেঁদে বসেছিলেন সেই তথ্য ফাঁস করে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। উঠে আসে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মাদক সংক্রান্ত আলোচনার ছবি।
চ্যাটে দেখা গিয়েছে, সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, নিজের ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর সঙ্গে রীতিমতো মাদক চক্র শুরু করেছিলেন রিয়া। একটি গ্রুপও খুলেছিলেন তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপে যেখানে মাদক সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনা হত।
ওই গ্রুপের চ্যাটে একাধিক বার ‘doobie’ কথাটি উঠে এসেছে যা আসলে ড্রাগের সাংকেতিক শব্দ বলে মনে করা হচ্ছে। সঞ্চয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে doobie রয়েছে কিনা, না থাকলেও নিয়ে আসতে বলা এই ধরনের কথাবার্তাও হয়েছে। এমনকি AK47 ও ব্লুবেরি কুশ নামে দুটি নিষিদ্ধ মাদকের কথাও রয়েছে চ্যাটে। রয়েছে মাদকের ছবিও।