বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রায় এক মাস পর ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty)। নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষা দাবি করে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও (video) পোস্ট করেন তিনি। মিডিয়ার জন্য সিবিআই, ইডির জিজ্ঞাসাবাদে সাহায্য করতে তিনি যেতে পারছেন না এমনটাই দাবি করেন রিয়া।
নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রিয়া। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রিয়ার বাড়ির সামনে জড়ো হওয়া সংবাদ মাধ্যমের ভিড়ের মধ্যে দিয়ে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি। ভিডিওর ক্যাপশনে রিয়া লিখেছেন, ‘এটা আমার বিল্ডিং কম্পাউন্ডের ভেতরে। ভিডিওতে ওই মানুষটা আমার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী (অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার)। ইডি, সিবিআই ও অন্য এজেন্সিগুলির তদন্তে সাহায্য করার জন্য আমরা বাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করছি। আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন।’
রিয়া আরও লেখেন, ‘স্থানীয় থানায় আমরা বিষয়টা জানিয়েছি, এমনকি সেখানে গেছিও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তদন্তকারী সংস্থাগুলিতেও আমরা খবর দিয়ে সাহায্য চেয়েছি তাদের কাছে পৌঁছনোর জন্য, কোনও সাহায্য করা হয়নি। এই পরিবারটা বাঁচবে কিকরে? আমরা শুধু তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য সাহায্য চাইছি। মুম্বই পুলিসকে অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের সুরক্ষা দেওয়া হোক যাতে আমরা সংস্থাগুলির তদন্তে সহযোগিতা করতে পারি। করোনা পরিস্থিতিতে এই নিয়মগুলি মানা বাঞ্ছনীয়।’
রিয়ার পোস্টটি সামনে আসতেই ফের একদফা ট্রোলের শিকার হয়েছেন তিনি। নেটিজেনরা পালটা তোপ দেগে বলেছে, এখন নিজের পরিবারের সুরক্ষার কথা চিন্তা করছেন রিয়া। অথচ দীর্ঘদিন ধরে সুশান্ত ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘোরতর অন্যায় করে গিয়েছে।
https://www.instagram.com/p/CEYg61Nnwoe/?igshid=hp58rmc35fx5
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জানা গিয়েছে মাদক চক্রে জড়িত থাকার সন্দেহে এবার নারকোর্টিক্স পরীক্ষা করা হবে রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর সঙ্গীদের। রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে নিষিদ্ধ মাদক নেওয়ার সূত্র পেয়ে ইডি। ইতিমধ্যেই রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের রেকর্ড সিবিআই ও নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে হস্তান্তর করেছে ইডি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ১০ দশ বছরের কারাদন্ড হতে পারে রিয়া ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের।
সম্প্রতি রিয়ার ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা, সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে Hash, CBD, MDMA সহ বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্যের কথা উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, সুশান্তকে চা, কফি, দুধ বা জলের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন রিয়া।
এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে রিয়া ও অন্যান্যদের নারকোটিক্স টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। শীঘ্রই সংগ্রহ করা হবে তাঁদের রক্তের নমুনা। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তদন্ত। রিয়া ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইন বা NDPC এর আওতায় ভারতীয় দন্ডবিধির ২০বি, ২৮ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।