বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নেমে পড়েছে ভারতীয় দল দু দিন আগেই। আইপিএলের দীর্ঘ ধকলের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশি ধকল এড়ানোর জন্য এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামীদের মত বড় তারকাদের। তাদের অনুপস্থিতিতে বদলে দলে সুযোগ পেয়েছেন একাধিক নতুন মুখ।
সম্প্রতি, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ান ডে ও টেস্ট সিরিজ হেরে ফেরে ভারত। সেই হার ভুলিয়ে এই সিরিজটিকে বদলার মঞ্চ হিসেবেই দেখছে তারা। তবে যেহেতু সদ্য আইপিএল শেষ হয়েছে এবং এই বছরেই রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সহ একাধিক সিরিজ, সেই কারণেই এক্ষেত্রে সাময়িক বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে কোহলি এবং রোহিত শর্মা সহ একাধিক তারকাকে। সেই জায়গায় ভারতীয় দলে যেমন অনেক নতুন মুখ সুযোগ পেয়েছে, ঠিক সেরকম ভাবেই দলে ফিরে এসেছে বেশ কয়েকজন পুরনো তারকাও, যার মধ্যে অন্যতম হলেন দীনেশ কার্তিক। শেষবার তিনি ভারতের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেইবার সেমিফাইনালে হেরে ভারত বিদায় নিয়েছিল। আর সেই সেমিফাইনালে যা পারফরম্যান্স ছিল দীনেশ কার্তিকের তা দেখে সকলে ধরেই নিয়েছিলেন যে ভারতের হয়ে সেটাই হতে যাচ্ছে তার শেষবার মাঠে নামা। কিন্তু সেই আশঙ্কাকে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে ভুল প্রমাণ করেছেন কার্তিক।
এবার তাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান তারকা বলেছেন, “ওকে বিশ্বকাপের দলে না দেখলে আশ্চর্যই হবো। হয়তো গ্লাভস হাতে পন্থই থাকবে কিন্তু ৫ বা ৬ নম্বরে কার্তিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভারতের জন্য। আইপিএলেও মনে আছে কোহলির মরশুম টা ভালো যায়নি, ম্যাক্সওয়েল ভালো শুরু করেছিল কিন্তু শেষদিকে নিজের সেরা ফর্মে ছিল না। দীনেশ কার্তিকই একমাত্র ক্রিকেটার যে গোটা মরশুম জুড়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে।”
প্রসঙ্গত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি টোয়েন্টিতে ২ বলের বেশি ব্যাট করার সুযোগ পাননি কার্তিক। তার আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে সকল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীই তাকে দলে ফেরানোর দাবি তুলেছিলেন। দীনেশ কার্তিক নিজেও আইপিএলের আগে একটি সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলে ফিরতে চান বলে জানিয়েছিলেন। তখন অবশ্য অনেকেই এই কথা শুনে হেসেছিলেন। কিন্তু এখন তাদের প্রত্যেককে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে জবাব দিয়েছেন কার্তিক। এর আগে তিনি ভারতের হয়ে ৩২টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৪৩-এর স্ট্রাইক রেটে ৩৯৯ রান করেছিলেন।