বাংলাহান্ট ডেস্ক: ৮ জুলাই এক রক্তাক্ত দিনের সাক্ষী থাকল বাংলা। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) শুরু হওয়ার সময় থেকে যত বেলা গড়িয়েছে ততই বিভিন্ন জয়গা থেকে এসে পৌঁছেছে হিংসার খবর। শুধু রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাই নয়, ভোট দিতে এসে আহত বা নিহত হয়েছেন সাধারণ মানুষও। বুথে আতঙ্কগ্রস্ত ভোটকর্মীরা, খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিকরা। অথচ বাংলার এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখেও মুখে কুলুপ বুদ্ধিজীবীদের। সরব হয়েছেন হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পী।
অভিনেতা তথা নাট্যশিল্পী কৌশিক সেন নীরব থাকলেও মুখ খুলেছেন ছেলে ঋদ্ধি সেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘পড়ে থাক গণতন্ত্রের লাশ, পচুক , গন্ধ বেরোক , সেই গন্ধ নাকে নিয়ে মাংস ভাত খাক রাজনৈতিক শিবিরগুলো , দুপুরবেলা আমরাও খাই পেট ভরে। গন্ধটা আরও তীব্র হওয়ার আগে চলুন খেয়েনি , আসুন, যোগ দিন মাংস ভাত খাওয়ায় , আমাদের ভাগাড়ের মাংস।’
পঞ্চায়েত ভোটের আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় কামব্যাক করেছে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর ‘বাচাল পুতুল’। একটি হাত পুতুল নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং বিতর্কিত ইস্যুতে নিজের মতামত রাখেন তিনি। পুতুলের মাধ্যমেই প্রকাশ করেন নিজের বক্তব্য। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে কী বলল ঋত্বিকের পুতুল?
হাতের পুতুল নিয়ে একটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা। সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাচাল পুতুলটা প্রশ্ন করছে- পুলিশ কবে পুলিশ পুলিশ খেলে? উত্তরটা জানা থাকলে বেচারাকে একটু জানিয়ে দেবেন।’ নির্বাচনের সারা দিন জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ছবি দেখে আমজনতার হয়েই যেন এই প্রশ্নটা ছুড়ে দিয়েছেন ঋত্বিক।
অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে। ‘এটা ভোট? তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা পথে নামবে না?’ সোশ্যাল মিডিয়ায় জিজ্ঞাসা অভিনেতার। বাংলার শিল্পী সমাজ তথা বুদ্ধিজীবীদের অধিকাংশকেই নীরবতা পালন করতে দেখা গিয়েছে এদিন।
রাজ্যের শাসক দলের তারকা বিধায়ক এবং তারকা সদস্যরা কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্ন। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটে। বাকি কিছু তিনি জানেন না।