বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লীর মঙ্গলপুরী এলাকায় বজরং দলের কর্মী রিঙ্কু শর্মাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। রিঙ্কু অয্যোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য নিধি সংগ্রহ অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিল। রিঙ্কুর হত্যার পর এই মামলায় বড়সড় তথ্য সামনে এসেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের জন্য আশার আলো হয়ে রিঙ্কু শর্মা নিজের রক্তদান করেছিল, তাঁরাই রিঙ্কুর বাড়িতে ঢুকে রিঙ্কুকে হত্যা করেছে।
পুলিশ এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে মহম্মদ ইসলামের স্ত্রী দেড় বছর আগে গর্ভবতী ছিল। দিল্লীর রোহিনি এলাকার একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মহম্মদ ইসলামের স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল, আর তাঁর রক্তের প্রয়োজন ছিল।
রিঙ্কু মহম্মদ ইসলামের স্ত্রীকে দু’বার রক্ত দিয়েছিল। এছাড়াও রিঙ্কু শর্মা অভিযুক্ত মহম্মদ ইসলামের ভাইকে করোনা কালে অনেক সাহায্য করেছিল। মহম্মদ ইসলামের ভাইয়ের করোনা হয়েছিল, তখন রিঙ্কু এগিয়ে এসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো থেকে শুরু করে সমস্ত সাহায্য করেছিল।
রিঙ্কু কোনদিনও বুঝতে পারেনি যে, সে যাদের সাহায্যের জন্য দিনরাত এক করে দেবে, তাঁরাই তাঁর প্রাণ নিয়ে নেবে। স্থানীয়দের অনুযায়ী, রিঙ্কু শর্মা খুব ভালো মনের মানুষ ছিল। কারোর সাথে তাঁর কোনও বিবাদ ছিল না।
বুধবার ১০ ফেব্রুয়ারি ২৫ থেকে ৩০ জন রিঙ্কুর বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর হামলা করে। অভিযুক্তরা প্রথমে লাঠি-ডাণ্ডা দিয়ে রিঙ্কুর উপর হামলা করে, এরপর তাঁর শরীরে একের পর এক আঘাত করে চাকু দিয়ে।