বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের মন জিতলেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পন্থ কর্ণাটকের এক মেধাবী ছাত্রীকে তাঁর ফি পরিশোধ করে কলেজে ভর্তি হতে সাহায্য করেছেন। এমতাবস্থায়, পন্থের এই পদক্ষেপ প্রত্যেকের মন জয় করেছে। শুধু তাই নয়, তাঁর এই মহৎ কাজের ভূয়সী প্রশংসাও করা হচ্ছে।
ফের মন জিতলেন পন্থ (Rishabh Pant):
বিলাগি তালুকের রাবাকবি গ্রামের বাসিন্দা জ্যোতি কানবুর মঠ দ্বাদশ শ্রেণিতে ৮৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। জ্যোতি উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখলেও আর্থিক সঙ্কট তাঁর জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কলেজে ভর্তির জন্য অসুবিধার সম্মুখীন হন জ্যোতি। জানিয়ে রাখি যে, জ্যোতির বাবা তীর্থ্যা গ্রামে একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। তিনি তাঁর মেয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করতে অক্ষম।
এমতাবস্থায়, গ্রামের স্থানীয় ঠিকাদার অনিল হুনাশিকাট্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জ্যোতিকে জামখণ্ডির বিএলডিই কলেজে BCA-র সিট পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য হুনাশিকাট্টিক্তিকে অনুরোধ করা হলে তিনি কেবল ভর্তির জন্য সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিই দেননি বরং, আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটকে “পাখির চোখ” করে শুরু প্রস্তুতি! চার সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা বিজেপির
হুনাশিকাট্টি বেঙ্গালুরুতে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এদিকে, অনিলের বন্ধুরা ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) ঘনিষ্ঠ। যাঁরা ভারতীয় ক্রিকেটারকে জ্যোতির কথা জানিয়েছিলেন। ঋষভ পন্থ তৎক্ষণাৎ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। গত ১৭ জুলাই, তিনি জ্যোতির প্রথম সেমিস্টারের ফি বাবদ সরাসরি কলেজের অ্যাকাউন্টে ৪০,০০০ টাকা ট্রান্সফার করেন।
আরও পড়ুন: আরও মিসাইল, ড্রোন, ব্রহ্মোস…. সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে ৬৭,০০০ কোটির চুক্তি, বড় পদক্ষেপ ভারতের
ঋষভ পন্থের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জ্যোতি: এই প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, “আমি দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন (BCA) কোর্স করার স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আমি অনিল হুনাশিকাট্টিকে এই বিষয়ে জানাই এবং তিনি বেঙ্গালুরুতে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যাঁরা ঋষভ পন্থকে (Rishabh Pant) আমার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করে এবং তিনি আমাকে সাহায্য করেন।” জ্যোতি আরও জানান, “ঈশ্বর ঋষভ পন্থকে সুস্বাস্থ্য দান করুন। তাঁর সাহায্য আমার কাছে অনেক মূল্যবান। আমি আশা করি পন্থ আমার মতো অন্যান্য দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরও সহায়তা করে যাবেন।”