বাংলা হান্ট ডেস্ক : ব্রিটেন, (Britain) জার্মানির মতো বিশ্বের তথাকথিত উন্নত দেশগুলো ধীরে ধীরে ধর্মীয় গোঁড়ামির এবং কুসংস্কারের অতল গভীরে চলে যাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে মূল সমস্যা শরণার্থী রূপে যারা আশ্রয় নিচ্ছে তারা। বিগত বহু সময়ে শরণার্থীদের তাণ্ডব দেখেছে ইউরোপ। কিন্তু এবার সেই সমস্যার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ব্রিটিশ সরকার। ধর্মীয় উপদেশ দেওয়ার নামে বিদ্বেষ ছড়ানো সমস্ত প্রচারকদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
রোববার ব্রিটেনের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয় যে, সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্বেষ ছড়ানো সমস্ত প্রচারকদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে। এই পরিকল্পনার ফলে পাকিস্তান (Pakistan), আফগানিস্তান (Afghanistan) ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ থেকে আসা জেহাদি ইসলামি (Islam) মতবাদের প্রচারকদের ব্রিটেনে প্রবেশ বন্ধ হতে চলেছে। এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকেও জেহাদি মতাদর্শে পুষ্ট ব্যক্তিদের নেওয়া বন্ধ করবে ব্রিটেন। আর এই নির্দেশ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)।
পুরো বিষয়টি জানা যায় যখন লন্ডনের 10 ডাউনিং স্ট্রিটের মঞ্চ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এই বক্তৃতা দেন। ভাষণে তিনি সতর্ক করেন যে, জেহাদি এবং উগ্র মৌলবাদের কারণে দেশের গণতান্ত্রিক ও বহু-বিশ্বাস মূল্যবোধ হুমকির মুখে পড়েছে। একই বিষয় সম্পর্কে প্রতিবেদন তুলে ধরে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফ। তারা জানিয়েছে যে, সুনাক সরকার মৌলবাদী কার্যকলাপের বাড় বাড়ন্ত নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন : আসানসোলকে না বলার পর নাড্ডার মুখোমুখি পবন! রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে দিলেন বড় বয়ান
এরইমধ্যে ব্রিটিশ সরকার বিদেশ থেকে আগত সবচেয়ে বিপজ্জনক মৌলবাদীদের চিহ্নিত করার জন্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ করছে যাতে তাদের তালিকায় যুক্ত করা যায় ভিসা না দেওয়া হয়। নতুন পরিকল্পনার অধীনে, তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ বন্ধ করা হবে। ব্রিটেনের হোম অফিসের একজন মুখপাত্রও বলেছেন যে, সমাজে জেহাদ অথবা মৌলবাদের কোনো স্থান নেই।
আরও পড়ুন: মহা সঙ্কটে সাংসদ-বিধায়করা, ‘ভোটের বদলে নোট’ কাণ্ডে কোনও রক্ষাকবচ নয়, রায় সুপ্রিম কোর্টের
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শুক্রবার তার ভাষণে বলেন, যারা আমাদের মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করার কাজ করছে তাদের এ দেশে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে হবে। তিনি স্পষ্টই বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র সচিব নির্দেশ দিয়েছেন, ভিসায় আসা লোকজন যদি বিদ্বেষ ছড়ায় অথবা মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের এখানে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে’।