ডেঙ্গুর দোসর চিকুনগুনিয়া! শীতের সাথেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩০ হাজার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই মশার কামড় থেকে নিস্তার নেই কারও। শীত পড়তেই, রাজ্যে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে মশার উপদ্রব। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ হাজার। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৫২২ জন। তার পরের ৫ দিনে সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। জানা যাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৩৪৬ জন।

রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue)

সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর পর মোট ২৩ হাজার ৮৪ জনের রিপোর্ট ডেঙ্গি পজিটিভ বেরিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষার পর মোট ৬ হাজার ৪৩৮ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। অতীতের পরিসংখ্যান বলছে শীতের কামড়ের সাথেই বাড়বে মশার উপদ্রব। তবে শুধুই ডেঙ্গি (Dengue) নয়, দোসর হয়েছে মশাবাহিত আরও এক রোগ, চিকুনগুনিয়া।

কিছুদিন আগেই মশাবাহিত এই রোগের জ্বালায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষজন। ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল গোটা এলাকায়। এই জোড়া রোগের হাত থেকে রাজ্যবাসীকে নিস্তার দিতে ইতিমধ্যেই এই মারণ রোগের মোকাবিলায় শুরু হয়েছে মশা নিধন পর্ব। পাশাপাশি সচেতনতা মূলক প্রচারেও জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়:

যেহেতু চারিদিকে এখন মশার ব্যাপক উপদ্রব। তাই এই মশার কামড় থেকে নিস্তার পেতে গেলে প্রথম থেকেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করার কথা বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে, বাড়ির আশেপাশে কোথাও যেন জমা জল না থাকে। থাকলে শুরুতেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম রাজ্য! এরইমাঝে বড় সিদ্ধান্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের

এমনিতেই শীতকাল, তাই সর্বক্ষণ হাত পা ঢাকা জামা পরতে বলা হচ্ছে।

এছাড়া রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।

Dengue

তবে শুধু শীতের আগমনেই নয়, পুজোর আগে থেকেই মালদহ,মুর্শিদাবাদের একাংশে এই অজানা জ্বরের উপদ্রব শুরু হয়েছিল। এই জ্বরের উপসর্গ হিসাবে দেখা গিয়েছিল মাথা ধরা, আর সেইসাথে অসহ্য হাতে-পায়ে ব্যথা। শুরুতে অনেকেই সাধারণ জ্বর ভেবে বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দু’সপ্তাহ পরেও অনেকের জ্বর বা মাথা ব্যথা না কমায় নতুন করে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। তখনই জানা যায়, গ্রামের অনেকেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর