বাংলাহান্ট ডেস্ক: টেলি ও টলিপাড়ার হটেস্ট অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। ছোটপর্দার ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ দিয়ে পথচলা শুরু করে এখন বলিউডেও কাজ করে ফেলেছেন তিনি। বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন জাতীয় মঞ্চে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ভাগ্যটা বেশ খারাপ ঋতাভরীর। কোনো সম্পর্কই টেকে না তাঁর। সম্প্রতি বিয়ে ভেঙেছে অভিনেত্রীর। এর আগে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) সঙ্গেও মাখোমাখো প্রেমও ভেঙে গিয়েছিল তাঁর।
টলিপাড়ার সবথেকে চর্চিত লভস্টোরিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল সৃজিত ঋতাভরীর সম্পর্ক। ২০১৪ সালে ‘চতুষ্কোণ’ ছবিতে কাজ করার সময়েই দুজনের প্রথম আলাপ হয়। সেই আলাপ অচিরেই গড়ায় প্রেমে। তিন বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করেছিলেন দুজনে। শোনা যায়, কাকাবাবুর শুটিংয়ের ফাঁকেই ঋতাভরীর সঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনার ডেটে যেতেন সৃজিত। ঘুরে বেড়াতেন শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। নয়তো ব্যস্ত থাকতেন চ্যাটে।
এমনকি ঋতাভরীকে মুম্বই থেকে কলকাতা ফেরার সময়ে বিমানবন্দরে আনতে যেতেও দেখা যেত সৃজিতকে। অভিনেত্রীর জন্মদিনের পার্টিতে মূল লাইমলাইট থাকত পরিচালকের উপরে। তাঁদের যুগল ছবি আজও জ্বলজ্বল করে নেটপাড়ায়। ঋতাভরী একবার বলেওছিলেন সর্বসমক্ষে, সৃজিতের সঙ্গে ভালবাসার থেকে ঝগড়া বেশি হয় তাঁর।
পরিচালক অবশ্য বিষয়টা নিয়ে কখনোই সরাসরি কোনো কথা বলেননি। গুঞ্জন শোনা যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাঙার পর থেকেই সাবধানী হয়ে উঠেছিলেন সৃজিত। তাই লোকচক্ষুর আড়ালেই রাখতে চেয়েছিলেন নিজেদের সুখের দিনগুলো। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হঠাৎ করেই খবর ছড়ায়, সৃজিত ঋতাভরীর নাকি ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে।
সে সময়ে ‘উমা’ ছবির শুটিং করছিলেন সৃজিত। ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল ঋতাভরীরও। কিন্তু তার বদলে নেওয়া হয় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, যার জেরে ভাঙনের গুঞ্জন আরোই তীব্র হয়ে ওঠে। কিন্তু চর্চিত বিচ্ছেদ নিয়ে কোনোদিন মুখ খুলতে দেখা যায়নি সৃজিত কিংবা ঋতাভরীকে।
পরিচালক পরবর্তীকালে বিয়ে করেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাকে। আর ঋতাভরীর সঙ্গে নাম জড়ায় তাঁর চিকিৎসক তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের। সম্পর্কটা প্রকাশ্যেও এনেছিলেন ঋতাভরী। চলতি বছরেই তাঁদের আইনি বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সবাইকে চমকে দিয়ে ফের সম্পর্ক ভাঙার কথা ঘোষণা করেন ঋতাভরী।