বাংলাহান্ট ডেস্ক: বালিগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বড় জল্পনা শুরু বিনোদন তথা রাজনৈতিক মহলে। জল্পনার কেন্দ্রে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। গুঞ্জন বলছে, এবার অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির জগতেও পা বাড়াতে চলেছেন তিনি। আর শুরুটা সম্ভবত হতে পারে আসন্ন উপনির্বাচন দিয়েই।
হঠাৎ এমন জল্পনার কারণ কী? সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে ঋতুপর্ণার নিভৃত সাক্ষাৎই যাবতীয় গুঞ্জনের আগুন উসকে দিয়েছে। গত রবিবার প্রয়াত হয়েছেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। সোমবার দুপুরে বিধানসভায় নিয়ে আসা হয় তাঁর মরদেহ। একে একে প্রয়াত মন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণাও। প্রয়াত সাধন পাণ্ডের শেষকৃত্যের পুরো সময়টাই উপস্থিত ছিলেন তিনি। পাশে পাশে থেকেছেন মন্ত্রীর মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের। আসলে প্রয়াত মন্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক অভিনেত্রীর। সেই সূত্রেই ছিলেন তিনি সেখানে।
জল্পনা শুরু হয় যখন ঋতুপর্ণাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় দশ মিনিট ধরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ছিলেন অভিনেত্রী। কী কথা হল দুজনের একান্তে? বলা বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর থেকে বেরোতেই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় ঋতুপর্ণাকে।
যদিও তিনি দাবি করেন, বিধানসভায় এই প্রথম বার এসেছিলেন তিনি। তাই ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন ঘুরে ঘুরে সবটা দেখতে। ঋতুপর্ণা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মন খুব খারাপ ছিল এদিন। দিদির সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা হল তাঁর। তিনি এসে ভাল করেছেন, অভিনেত্রীকে এমনটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধুই কি এই কথা? নাকি রাজনৈতিক বিষয়েও কোনো কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে? গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে সম্ভবত সবুজ শিবিরের হয়ে প্রার্থী হতে পারেন ঋতুপর্ণা। কিংবা দলের তারকা প্রচারক? কিন্তু সেসব জল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর স্পষ্ট জবাব, এ বিষয়ে কোনো কথাই হয়নি।