মমতার সভায় পচা বিরিয়ানি বিলি! অসুস্থ অসংখ্য পড়ুয়া, বক্তৃতার মাঝেই পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের বিতর্ক মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে। গতকাল মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সভার জন্য শিলিগুড়ির (Siliguri) শিক্ষা জেলার ১২টি স্কুলের ১০৪০ জন পড়ুয়াকে আনা হয়। শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলে পড়ুয়াদের একত্রিত করে সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই ঘটে চরম দুর্ঘটনা। স্কুল থেকে স্টেডিয়ামে পৌঁছনোর আগে স্কুলে ওই পড়ুয়াদের জন্য বিরিয়ানির আয়োজন করা হয়। সেই বিরিয়ানি পচা ছিল বলে অভিযোগ পড়ুয়া এবং তাদের পরিবারের। ফলে না কার্যত না খেয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় পৌঁছয় তারা।

ডিম ভাতের বদলে বিরিয়ানি। বিরিয়ানির সুগন্ধ এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কিছু অনুষ্ঠানেই পাওয়া গিয়েছে। আর সেই বিরিয়ানি মজা করে খেয়েছেন শাসকদলের কর্মী সমর্থকর থেকে শুরু স্থানীয় মানুষরাও। এবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে বিরিয়ানির আয়োজন করা হয়। তবে এদিনের আয়োজন দলীয় কর্মী সমর্থকদের জন্য নয়। এদিনের বিরিয়ানি ছিল ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদের জন্য। বিরিয়ানি খেয়ে যেতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর সভায়। এমনই ছিল সরকারি। সেই উদ্দেশ্যেই সকাল থেকে ওই স্কুলগুলোতে দুপুরের খাবার পৌঁছে যায় প্রশাসনিক উদ্যোগে।

এরপরই ঘটে বিপত্তি। শিলিগুড়ি বয়েজ় হাই স্কুলে দুপুরের খাবার পৌঁছতেই শুরু হয় চরম বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে পচে গিয়েছে সেই বিরিয়ানি। যা খেয়ে অনেকে পড়ুয়াই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মারাত্মক ক্ষুব্ধ হন।

mamata

জানা গেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে পড়ুয়াদের জন্য সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতর থেকে ১ হাজার ২৫০ প্যাকেট বিরিয়ানি (Biryani) অর্ডার করা হয়। নষ্ট বিরিয়ানি বিষয়ে বিরিয়ানির দোকানের মালিক জানান, ‘সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে ১২৫০ প্যাকেট বিরিয়ানি দেওয়ার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো অর্ডার ডেলিভারি করা হয়েছে। সেই বিরিয়ানি যদি পরের দিন দুপুরবেলা খাওয়ানো হয়। তাহলে তো সেটা নষ্ট হয়ে যাবেই।’

বিরিয়ানির দোকানের মালিকের কথা মতো বিরিয়ানি রান্না হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তা পড়ুয়াদের হাতে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসন এতটা উদাসীন কিভাবে হতে পারে? পুরো বিষয়টি জানতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(mamata banerjee) । সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেন তিনি। সভার মাঝখানেই হঠাৎই পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘খিদে পেয়েছে?’ মঞ্চের সামনের দিকে বসে থাকা পড়ুয়ারা বলে ওঠে ‘হ্যাঁ।’ তখনই তাদের খাবারের প্যাকেট দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চের পেছনের সারিতে বসে থাকা দার্জিলিঙের জেলাশাসক ছুটে যান খাবারের ব্যবস্থা করতে।

ad

Sudipto

সম্পর্কিত খবর