বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘Robert- Most Haunted Doll in the world,’ এই ক্যাপশন দিয়ে একটি অদ্ভুত দর্শন পুতুলের ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই সমাজ মাধ্যমে এই পুতুলের ছবি পোস্ট করে ক্ষমা চাইছেন। অদ্ভুত দর্শন এই পুতুলটির ইতিহাসের ব্যাপারে আপনার জানা আছে? কেন সবাই ক্ষমা চাইছেন এই পুতুলটির কাছে? সরি রবার্ট! হ্যাস ট্যাগে এখন ভরে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই লম্বা লম্বা পোস্ট করে ক্ষমা চাইছেন এই পুতুলের কাছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে হলদে রঙের এই খেলনা পুতুল বসে আছে একটি চেয়ারের উপর। পুতুলের হাতে আবার একটি অদ্ভুত খেলনা। অদ্ভুত দর্শন এই পুতুলটির নাম রবার্ট। জানা যায় বাস্তবে অস্তিত্ব রয়েছে এই পুতুলটির। রবার্ট ইউজিন অট্টোর জন্ম ১৯০০ সালে। এই রবার্ট ইউজিন অট্টোর প্রিয় পুতুল ছিল এটি। রবার্টের ছয় বছরের জন্মদিনে তাদের বাড়ির পরিচারিকা এই পুতুলটি তাকে উপহার দেয়। কিন্তু এই পুতুলটি আর পাঁচটা সাধারণ পুতুলের মতো ছিল না।
আরোও পড়ুন : মাত্র ১০ ঘণ্টায় হাওড়া থেকে দিল্লি! নতুন বছরে নয়া চমক, প্রকাশ্যে এল রেলের প্ল্যান
জানা যায় যে পরিচারিকা এই পুতুলটি উপহার দিয়েছিলেন তিনি কালো জাদু করতেন। এই পুতুল রবার্টের পরিবারে আসার পর ঘটতে থাকে নানান ধরনের অশুভ ঘটনা। পুতুল উপহার দেওয়ার কিছুদিন পরেই এই পরিচারিকাকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ ছিল এই পরিচারিকা পুতুলের মাধ্যমে ব্ল্যাক ম্যাজিক করে রবার্ট এর উপর প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে যতদিন যায় ততই এই পুতুলটি রবার্টের খুব প্রিয় হয়ে ওঠে।
আরোও পড়ুন : গঙ্গাসাগরের মেলায় নজরদারি চালাবে ISRO! পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
এরপর রবার্ট এর বাবা-মা এই পুতুলটি তাদের সন্তানের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু রবার্ট এই পুতুলটিকে ছাড়তে নারাজ ছিলেন। এই শিশুটি পুতুলটির নাম নিজের নামের সাথে মিলিয়ে দেন ‘রবার্ট দ্য ডল’। রবার্ট এই পুতুলটির সাথে কথা বলতেন। শোনা যায় এই পুতুলটিও নাকি রবার্টের কথার জবাব দিত। যত দিন যায় ততই ওই পরিবারে ঘটতে থাকে অস্বাভাবিক ঘটনা।
কখনো দেখা যেত নিজে থেকেই এই পুতুলটি চোখ পিটপিট করছে, আবার কখনো শোনা যেত অট্টহাসি।এই রবার্ট যখন বিবাহিত জীবন শুরু করেন তখন তিনি থাকতে শুরু করেন আমেরিকার ফ্লোরিডার পশ্চিমপ্রান্তের একটি দ্বীপে। এই বাড়িতেও রবার্টের স্ত্রীর সাথে ঝামেলা হত পুতুলটিকে নিয়ে। নানান ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটত এই পুতুলকে ঘিরে। ১৯৭৪ সালে রবার্টের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী এই পুতুলটি রেখে আসেন মিউজিয়ামে।
তবে এই পুতুলকে ঘিরে মিউজিয়ামেও ঘটত অস্বাভাবিক ঘটনা। রাতের বেলা মিউজিয়ামে যেখানে এই পুতুলটিকে রাখা হত, পরের দিন সকালবেলা দেখা যেত পুতুলটি সরে গেছে অন্য জায়গায়। এই পুতুলটিকে নিয়ে রয়েছে এমন হাজারো মিথ। আচমকা সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই পুতুলটির কাছে ক্ষমা না চাইলে অনেকেই মনে করছেন ঘটতে পারে অভিশপ্ত কিছু। তাই এখন রীতিমতো রবার্ট পুতুলের কাছে ক্ষমা চাওয়া একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।