বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতিটা কয়েনরই দুটো দিক থাকে। ভাল এবং খারাপ। মানুষ সহ সবকিছুর ক্ষেত্রেই এই কথাটা প্রযোজ্য। একইরকম সোশ্যাল মিডিয়ারও যেমন ভাল দিক রয়েছে তেমনই রয়েছে উলটোটা। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বহু মানুষ বিখ্যাত হয়েছেন। ঢিনচ্যাক পূজা, কমলেশ, ‘পিছে দেখো’র সেই মিষ্টি বাচ্চাটা বা সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ‘আব্বা হারমোনিয়ম বাজাতে থে’ নেটিজেনরা বহু মানুষকেই ভাইরাল করেছে গত কয়েক বছরে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় রানু মণ্ডলের যেমন ভাগ্য খুলে গিয়েছে ইন্টারনেটের দৌলতে, সেখানেই কমলেশ ভাইরাল হয়েছিল অত্যন্ত ছোট বয়সে নেশা করার জন্য। এই তালিকায় যার নাম না নিলে তালিকাটা সম্পূর্ণই হবে না তিনি হলেন রোদ্দুর রায়। রবীন্দ্রসঙ্গীতকে ‘বিকৃত’ করে গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত বিখ্যাত এখন তিনি।
রোদ্দুর রায়কে নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। অনেকেই তাঁর সমালোচনা করছেন। আবার একাংশ পক্ষ নিয়েছে তাঁর। তাঁদের মতে মানুষ এখনও চিনতে পারেনি রোদ্দুর রায়কে। আসলে কে এই রোদ্দুর রায়? নিজেকে তিনি ‘বিশ্বকবি’ বলে পরিচয় দেন। জন্মসূত্রে বাংলাদেশের বরিশালের হলেও এখন ভারতেই থাকেন তিনি। কালো আলখাল্লা পরে মাথায় একটা ফেট্টি বেঁধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানগুলো ‘বিকৃত’ করে নিজের মতো গান তিনি। এই হলেন রোদ্দুর রায়। রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘যেতে যেতে পথে পূর্ণিমা রাতে চাঁদ উঠেছিল গগনে’র ‘রোদ্দুর রায় ভার্শন’ রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল নেটদুনিয়ায়।
কিন্তু হঠাৎ রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে এমন আচরণের কারণটা কী? রোদ্দুর রায়ের কথায়, আমি চেয়েছি নিজেকে প্রচার করতে। কলকাতায় লিটল ম্যাগ হচ্ছে দেখেছি। টেলিফিল্ম করতে গিয়ে দেখেছি আমার স্ক্রিপ্ট ছেপে দিয়েছে অন্য লোক। বাড়িতে বলছে, ামার স্ক্রিপ্ট ছেপে দিয়েছে মানে আমার স্ক্রিপ্টটা ভাল ছিল। রবীন্দ্রনাথকে ‘দাদু’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রবিদাদু, বিঠোফেন দাদু, জীবনদা বা সুকুমার রায় এঁদের প্রতি আমার অসীম প্রেম আছে। এঁদের কিন্তু আমি মানুষ বলে কখনও চিনতে পারিনি। এঁদের কাজের ওপর তাঁদের আত্মার যে প্রতিফলন সেই কাজগুলো আমায় স্পর্শ করেছে। তাঁদের সঙ্গে নিজের আত্মাকে আমি জুড়তে পেরেছি।
রোদ্দুর রায় আরও জানান, তাঁর মতে মনীষীদের আত্মার মধ্যে যে মুক্তি, যে শিক্ষা
রয়েছে তা আমরা খুবই কম ধরতে পেরেছি। তা যদি পুরোপুরি নেওয়া যেত তাহলে সমাজের এই অবস্থা হত না বলেও জানান তিনি। রবীন্দ্রনাথে সাবঅলটার্ন ভাষা আসা মানে তাঁকে অপমান করা নয়, এমনটাই মত রোদ্দুর রায়ের।