বাংলাহান্ট ডেস্ক: দীর্ঘদিন পর অভিনয়ে ফিরেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly)। ছোটপর্দায় তাঁকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলেন দর্শকরা। স্টার জলসার ‘মেয়েবেলা’ সিরিয়ালে অন্যতম মুখ্য চরিত্রে দেখা মিলেছিল এই দাপুটে বিজেপি নেত্রীর। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই অঘটন। রাতারাতি মেয়েবেলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রূপাকে। নাকি তিনি নিজেই সরে গেলেন?
কিছুদিন আগেও রূপা অভিনীত বিথীকা ওরফে বিথী মাসি চরিত্রটি নিয়ে ট্রোল চলছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই দাবি করছিলেন, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় নাকি অতিরিক্ত নাটুকে অভিনয় করছেন। পোড়খাওয়া অভিনেত্রীকেও অভিনয় দক্ষতা নিয়ে খোঁটা শুনতে হচ্ছিল দেদার। কিন্তু এখন হঠাৎ বিথী মাসির ভূমিকায় রূপার বদলে অনুশ্রী দাস আসতেই অন্য সুর নেটপাড়ায়।
বিথীকার চরিত্র ফেরত চাই রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। চার মাস পর এত বড় বদল মানতেই পারছেন না দর্শকদের একাংশ। কিন্তু হঠাৎ সিরিয়াল ছাড়লেন কেন রূপা? টেলিপাড়ায় গুঞ্জন, নির্মাতাদের সঙ্গে মত পার্থক্যের জেরেই নাকি সিরিয়াল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজে।
মুখ খুলেই কার্যত একের পর এক বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছেন তিনি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, সিরিয়ালের গল্পটা শুনেই এতদিন পর অভিনয়ে ফিরতে রাজি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, বিথীকা চরিত্রটি তাঁকে যেভাবে বলা হয়েছিল, অভিনয় করতে এসে তিনি দেখেন চরিত্রটি সম্পূর্ণ আলাদা।
বিথীকা চরিত্রটি যে খল নায়িকা তা জানতেন না রূপা। তিনি বলেন, চরিত্রটি যেভাবে নিজের বউমার সঙ্গে ব্যবহার করছে এগুলো ৪০ বছর আগে দেখালেও মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু এখন এসব নোংরামো নেওয়া যায় না। তিনি সরাসরি বলেন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে কোনো সিরিয়াল যে এতটা রিগ্রেসিভ হতে পারে তা তাঁর ভাবনার বাইরে ছিল।
রূপা এও জানান, তিনি বিষয়টা নিয়ে অনেকবার নির্মাতা, চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁকে জানানো হয়েছে, বাজারে নাকি এখন এটাই চলছে। প্রযোজক নিসপাল সিংয়ের সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। দর্শকদের পাশাপাশি তাঁর নিজেরও চরিত্রটি করতে ভাল লাগছিল না বলেই জানান রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এও জানান, অনেক সময়ে বাড়িতে এসে কেঁদেওছেন তিনি। তাই সিরিয়াল ছেড়ে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।