বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রোজভ্যালি কাণ্ডে (Rose Valley Case) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিলীপ শেঠের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে গত ২০ বছরের আর্থিক হিসেবনিকেশের কোনও অডিট হয়নি। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সেই কমিটি রিপোর্ট পেশ করলে উল্টে তার কাজকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি বসানোর ইঙ্গিত উচ্চ আদালতের।
শেঠ কমিটির রিপোর্টে বিরক্ত হাইকোর্ট | Calcutta High Court
অডিট না হওয়ার পাশাপাশি, ওই রিপোর্টে দেখা যায় শেঠ কমিটি ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত অফিস চালানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। চেয়ারম্যানের কে বেতন দিয়েছে? বিচারপতি প্রশ্ন করলে তাদের আইনজীবী জানান, ‘চকোলেট গ্রুপ’ নামের এক সংস্থা এই সেই খরচ দিয়েছে।
বিচারপতির প্রশ্ন, হাইকোর্টের কি ওই কমিটিকে চকোলেট গ্রুপ নামের সংস্থাকে এর ভিতরে ঢোকানোর কথা বলেছে? যার কোনও অস্তিত্বই নেই। এরপরই উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, “কমিটির কাজকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি করতে হবে।” শেঠ কমিটির রিপোর্ট ভালোমতো পড়ে দেখার কথা বলেন বিচারপতি। অসম্পূর্ণ অডিট রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
আগেই রোজভ্যালির যাবতীয় হোটেল গুলো বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা না করে কমিটি চকলেট গ্রুপ কে দিয়ে কেন তার ব্যবসা করছে সেই নিয়ে আগেও হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল৷ এদিকে শুনানিতে এমপিএস (MPS) বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার ফান্ড নিয়েও কমিটির কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। সিবিআই-কে এমপিএস(MPS) সম্পর্কে তাদের কাছে থাকা সমস্ত নথি পরবর্তী শুনানির আগে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুখবর দিয়ে ৩% DA বাড়ছে! বাংলায় ষষ্ঠ পে কমিশন কবে? রাজ্য সরকারি কর্মীদের নেতা বললেন…
মঙ্গলবার রোজভ্যালিকে আদালতের নির্দেশ, আদালতকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তার কপি মামলার সব পক্ষকে দিতে হবে। কারণ মানুষেরও দেখার ও জানার অধিকার রয়েছে কি চলছে। মানুষ আসল সত্য জানতে চায়। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিন শেঠ কমিটিরই সদস্য ইডি-র জবাব শুনবে আদালত৷ পাশাপাশি চকলেট গ্রুপেরও বক্তব্য আদালত আগামি দিনে শুনতে পারে।