বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রকোপে বর্তমানে শ্মশানপুরীতে পরিণত হয়েছে আমেরিকা (America)। এবার তাদের সাহাযার্থে এগিয়ে এল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্যরা (RSS)। এই সংকটের মুহুর্তে দেশের পাশাপাশি মার্কিন সরকারকেও সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে তারা। কেরল ও দিল্লীর পর এবার তারা আমেরিকার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
করোনা ভাইরাসের জেরে সমগ্র বিশ্ব এখন আতঙ্কিত। ২৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসের কারণে আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। এই ভাইরাস চীনে উৎপন্ন হলেও আমেরিকা এখন এই ভাইরাসের কারণে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে এবং ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি এবার মার্কিন নাগরিকদেরকেও এই সংকটের সময় সাহায্যের আশ্বাস দিল হিন্দু স্বয়ংসেবক সংঘ সংগঠন।
লকডাউনের ফলে বহু মানুষ বর্তমানে খাদ্য সংকটে ভুগছে। দেশের বেশিরভাগ নাগরিক তাঁদের এই দুঃখে সহানুভূতি দেখালেও, এগিয়ে এসেছে মাত্র অল্প কয়েক সংখ্যক সেচ্ছাসেবি সংস্থা। যার মধ্যে RSS সংগঠন অন্যতম। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুঃস্থ মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের বিজেপি পিন্থী বলে কটাক্ষ করলেও, তারা কিন্তু এই সংকটের মুহুর্তেও তাঁদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আমেরকার নাগরিকদেরকেও তারা ত্রাণ বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় থাকা RSS-র শাখা মারফত সেবা ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ২০০টিরও বেশি ইন্দো-আমেরিকান ও অন্য মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি ২৮ টি রাজ্যে ত্রাণ বিলির কাজ করে চলেছে। এর মধ্যে RSS সংস্থার দেড় হাজারের বেশি সদস্য ছাড়াও অন্য সংগঠনেরও আড়াই হাজারের বেশি সদস্য যুক্ত রয়েছেন। সেবা ইন্টারন্যাশনাল এই ত্রাণ কার্য চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই ৩.৫ মিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার সংগ্রহ করতে পেরেছে।
চিকিৎসা বিষয়ে সাহায্যের জন্য অনলাইনে প্লাজমাদাতাদের নাম নথিভুক্তকরণে ইতিমধ্যেই ৬০ জন ব্যক্তির নাম জমা পড়েছে। এছাড়াও নাগরিকদের প্রয়োজনে ৮ টি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। হিন্দু স্বয়ংসেবক সংঘের যুগ্ম জনসংযোগ আধিকারিক বিকাশ দেশপাণ্ডে জানিয়েছেন, ‘দেশে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে, সেই পথেই সংঘের স্বয়ংসেবকরা আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ কার্য করে চলেছেন। সংঘের ঐতিহ্য হল, যে যে কোন সমস্যায় স্থানীয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁদের সাহায্য করা। এখনও আমরা তাই করছি’।