বাংলাহান্ট ডেস্ক: একজন বিজেপিতে অন্যজন তৃণমূলের নব নির্বাচিত বিধায়ক। কিন্তু রাজনীতির রঙ নিজেদের বন্ধুত্বে লাগতে দেননি রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh) ও কাঞ্চন মল্লিক (kanchan mullick)। কাঞ্চন, রুদ্রনীল ও রাজ চক্রবর্তীকে প্রায়ই একসঙ্গে আড্ডা মারতে দেখা যায়। কিন্তু নির্বাচনী ব্যস্ততায় গত ছয় মাসে একেবারেই দেখাসাক্ষাৎ হয়নি দুই বন্ধুর। এখন কাঞ্চন-পিঙ্কি-শ্রীময়ীর এমন অভিযোগ পালটা অভিযোগের কথা শুনে হতভম্ব রুদ্রনীল।
সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিনেতা বলেন, দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব তাঁর ও কাঞ্চনের। কিন্তু কখনো পিঙ্কির সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য কলহের কথা শোনেননি। বরং আর পাঁচটা স্বামী স্ত্রীর মতোই জীবন ছিল কাঞ্চন পিঙ্কির। এমনকি কাঞ্চন নির্বাচনে জেতার পরেই কথা হয়েছে তাঁর রুদ্রনীলের সঙ্গে। পিঙ্কির পোস্ট করা কাঞ্চনের ছেলের মজার ভিডিওর ব্যাপারেও গল্পগুজব করেছেন দুজন। কিন্তু কোনো অস্বাভাবিকতা টের পাননি বলেই জানান রুদ্রনীল।
অভিনেতার বক্তব্য, সম্প্রতি তিনি যে সব বিষয় শুনতে পাচ্ছেন তা কাঞ্চন করতে পারেন বলে তাঁর বিশ্বাসই হচ্ছে না। অভিনেতার দাবি, মানুষ হিসেবে কাঞ্চন অত্যন্ত সাদামাটা। তাঁকে তিনি চেনেন। এর আগেও নিজের স্বার্থে অনেকেই ভুল বুঝিয়ে ব্যবহার করেছেন কাঞ্চন মল্লিককে। এবারেও তেমনি কিছু ঘটছে না তো? আশঙ্কা রুদ্রনীলের।
পাশাপাশি এই সম্পর্কের ত্রিকোণ বিষয়টি নিয়ে রুদ্রনীলের বক্তব্য, যদি সত্যিই কাঞ্চন ও পিঙ্কির মধ্যে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি এসে থাকেন তবে তাঁর মতে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সংসারে মন দেওয়া উচিত কাঞ্চনের। রুদ্রনীল চান, তাঁর দুই বন্ধুর দাম্পত্য জীবন যেন আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে।
সম্প্রতি পিঙ্কি অভিযোগ করেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যাওয়ায় তাঁরা দুজনেই তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন করছেন। এমনকি বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় কাঞ্চন তাঁকে হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন পিঙ্কি। রবিবার নিউ আলিপুর থানায় কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর নামে এফআইআর দায়ের করেছেন পিঙ্কি।