গুড়বাতাসায় পিঁপড়ে, নকুলদানায় মাছি, কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে প্যারোডি খোঁচা রুদ্রনীলের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: অনেক দিন ধরে আটকে রাখার পরেও শেষমেষ শেষরক্ষা করা গেল না। দোলের দিনই দিল্লি যেতে হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। সকালেই আসানসোল জেল থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সবুজ সংকেত দিয়েছেন জোকার ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি উড়ে যাবেন ইডি আধিকারিকরা। তার আগে ‘অনুমাধব’ প্যারোডি দিয়ে অনুব্রতকে বিদায় জানালেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।

রুদ্রনীলকে বাংলার ‘প্যারোডি কিং’ তকমা দেওয়াই যায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়কে ব্যঙ্গচ্ছলে উপস্থাপন করেন তিনি। তাঁর বলার ধরণ, মুখভঙ্গি দেখে হাসি চেপে রাখা দায়। বিশেষ করে রুদ্রনীলের ‘অনুমাধব’ প্যারোডি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। সরাসরি তৃণমূল নেতার নাম না নিলেও তাঁর কটাক্ষের তীর যে অনুব্রতর দিকেই সেটা কারোর বুঝতে বাকি থাকেনি। এবার ‘অনুমাধব ৩’ নিয়ে আসলেন বিজেপির তারকা সদস্য।

Rudranil anubrata

হাতে আবিরের থালা নিয়ে গালে আবির মেখে বসেছেন রুদ্রনীল। দোলের দিনেই দিল্লি যাত্রা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। অথচ এখন আর কেউ নেই তাঁর পাশে। দলের তরফেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। আর এ দিনেই রুদ্রনীল মনে করিয়ে দিয়েছেন অনুব্রত-রাজের দিনগুলোর কথা।

‘শুঁটিয়ে লাল করে দেব’ থেকে ‘চড়াম চড়াম গুড়বাতাসা’ হিট ডায়লগ কম দেননি বীরভূমের ‘কেষ্ট’। প্যারোডিতে রুদ্রনীল কটাক্ষ করেছেন, পুলিসকে শাসিয়েছেন তিনি। আর পুলিস মন্ত্রী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন। অজুহাত দিয়েছেন মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম পৌঁছানোর। কিন্তু শেষরক্ষা করা গেল না।

ব্যঙ্গের সুরে রুদ্রনীল বলেন, বাংলার কয়লা গরু অনুব্রতকে মিস করবে। সঙ্গে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, মাছের ল্যাজাটা তিনি খেয়েছেন। কিন্তু মুড়োটা খেল কে? এবার অন্তত মুখ খুলুন। সবশেষে কালীঘাটের তরফে ‘ফ্লাইং কিস’ পাঠাতেও ভোলেননি রুদ্রনীল।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর