বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত বছরের শুরুর দিকে তারকাময় ছিল বঙ্গ বিজেপি (bjp)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক টলিউড তারকা যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির পরেই একে একে দল ছেড়েও দেন তাঁরা। শুরুটা হয়েছিল তনুশ্রী চক্রবর্তীকে দিয়ে। তারপর শ্রাবন্তী চট্টোপাশ্যায়, পায়েল সরকার আর এবার বনি সেনগুপ্তও (bonny sengupta) ছেড়ে দিলেন বিজেপি। এমনকি যে সোহেল দত্তর হাত ধরে তিনি দলে পা রেখেছিলেন তিনিও বিদায় নিলেন বনির সঙ্গেই।
কিন্তু মোটামুটি সবাই ছেড়ে দিলেও একজন কিন্তু এখনো রয়ে গিয়েছেন। তিনি রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh)। দল ছাড়া তো দূর, উলটে সদ্য বিজেপি ত্যাগী তারকাদের একহাত নিয়েছেন অভিনেতা। গত বছর থেকেই বিজেপি ছাড়ার আভাস দিচ্ছিলেন বটে বনি। তাঁর দাবি ছিল, অভিনয়ের দিকেই এখন তিনি মন দিতে চান। কারণ তাঁর হাতে প্রচুর কাজ।
কিন্তু রুদ্রনীলের দাবি, ব্যস্ততার অজুহাত দিচ্ছেন বনি। টলিউডে তিনি আগেও যেমন কাজ করতেন এখনো তেমনি করতে দেখছেন তিনি। কিন্তু যেহেতু দল ছাড়ার জন্য কিছু একটা অজুহাত খাড়া করতে হবে, তাই এটাই সবথেকে সোজা উত্তর বলে মত রুদ্রনীলের।
বিদেপি ছাড়ার ঘোষনা করে টুইটে বনি লিখেছেন, ‘আজ থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আমার সংযোগ ছিন্ন হল। পার্টি প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এবং আমি কোনো উন্নয়নও দেখতে পাচ্ছি না যা তারা পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য করেছিলেন।’
বনির অভিযোগের উত্তরে রুদ্রনীলের বক্তব্য, দেনা পাওয়ার হিসাব না মিললেই দল ছেড়ে দেন তারকারা। এর আগে শ্রাবন্তী, তনুশ্রীরাই সেটাই করেছেন। পাশাপাশি রুদ্রনীলের দাবি, শাসক বিরোধী দলে থাকলে টলিউডে কাজ পাওয়া যায় না। তাই এখন একে একে তারকারা ছেড়ে যাচ্ছেন।
তবে রুদ্রনীল নিজের দলের দোষগুণও দেখতে জানেন। তবে তাঁর বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমে দলের ভুলগুলো শুধরে নেওয়া যায়। তিনি নিজে সেটাই করেন। দলীয় নেতারাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু যারা দলের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে ছেড়ে দিলেন তারা কিন্তু একবারও আলোচনা করার চেষ্টা করেননি, স্পষ্ট বক্তব্য রুদ্রনীলের।