বাংলাহান্ট ডেস্ক : নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বঙ্গে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। উত্তুরে হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত আসতে আর বেশি দেরি নেই। শীতকাল এলেই ব্যবহার বেড়ে যায় গিজারের। আবার অনেকেই শীতকালে স্নানঘরে ইন্সটল করে থাকেন গিজার (Geyser)। তবে গিজার ফেটে মাঝেমধ্যেই আসে বিভিন্ন দুর্ঘটনার খবর।
গিজার (Geyser) থেকে দুর্ঘটনা
এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে। আজ আলোচনা করব সেই বিষয়েই। গিজার কেনার সময় সর্বদা আইএসআই (ISI) মার্ক দেখেই কিনতে হবে। দক্ষ মেকানিক ছাড়া গিজার (Geyser) ইন্সটল করবেন না। সঠিকভাবে যদি গিজার লাগানো না হয় তাহলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
যদি দীর্ঘদিন ধরে গিজার ব্যবহার করা না হয় তাহলে সার্ভিসিং করিয়ে ব্যবহার শুরু করা উচিত। গরমকালে সাধারণত গিজারের প্রয়োজন হয় না। তবে সবার উচিত গিজারের যে পাইপ লাইন রয়েছে সেখানে যাতে মাঝেমধ্যে জল আদান প্রদান করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা।
আরোও পড়ুন : ‘যেখানে কোনো ভুল…’, কার দিকে ইঙ্গিত সলমনের? কৃষ্ণসার হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়!
সব সময় লক্ষ্য রাখবেন গিজারের তার যেন তামার হয়। অন্য কোনও ধাতুর তার গিজারে থাকলে বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। যদি আপনার গিজার অটোমেটিক না হয়ে থাকে তাহলে ব্যবহারের পর সেটি মনে করে বন্ধ করে দিতে হবে। নয়ত সেখান থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
গ্যাস সিলিন্ডার যুক্ত গিজার থাকলে বাথরুমে অবশ্যই এক্সজস্ট ফ্যান রাখতে হবে। এই ধরনের গিজার থেকে নির্গত হয় প্রোপেন ও বিউটেন গ্যাস। সেই গ্যাস পরবর্তীকালে পরিণত হয় কার্বন-ডাই-অক্সাইডে। তাই যদি বাথরুমে এক্সজস্ট ফ্যান না থাকে তাহলে জ্ঞান হারানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে।